Skip to content

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কখন পান করবেন চা-কফি

এমন অনেকে আছেন যাদের দিনের শুরুটা চা কিংবা কফি ছাড়া অসম্পূর্ণ। একবেলা চা বা কফি না খেলে তারা কাজ করার স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে গল্প করতে বসলেও অনেক সময় তাদের চা কিংবা কফির প্রয়োজন হয়। এই চা-কফির ভালো ও মন্দ উভয় দিক রয়েছে। চা-কফি পানের নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে। এই যেমন বিজ্ঞান মতে, কফি দিয়ে সকাল শুরু করা এবং দিনের আরও কিছু সময়ে কফি পান করা ক্ষতিকারক।

সারাদিন ঘুম ও সচেতন থাকা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের শরীর দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টায় নির্দিষ্ট তাল মেনে হরমোন উৎপাদন করে। এই রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে একটি হল কর্টিসল। আমরা কতটা সজাগ থাকবো সেটা নিয়ন্ত্রণ করে এই হরমোন।

দিনের নির্দিষ্ট সময় কর্টিসলের উৎপাদনের মাত্রা বেশি থাকে, আবার নির্দিষ্ট সময় কম।

বিজ্ঞান মতে, কর্টিসল উৎপাদনের মাত্রা বেশি থাকার সময় কফি বা অন্য কোনো ক্যাফেইন গ্রহণ করা একদমই উচিত না। কারণ এই সময় পান করলে শরীরে কফির প্রভাবই কেবল নষ্ট হয় না পাশাপাশি ক্যাফেইনের প্রভাবও প্রতিরোধ করে। মানে হল, সাধারণত আপনি যে পরিমাণ কফি পান করেন, এই সময় সেই একই পরিমাণ কফি খেলেও সন্তুষ্টি আসে না।

ভাবছেন কখন তাহলে কফি পান করবেন? মোটামুটি ভাবে নির্দিষ্ট কিছু সময় বের করা হয়েছে যা কফি পানের উৎকৃষ্ট সময় হিসেবে ধরা হয়। তবে যারা সকাল ছয়টা থেকে আটটার মধ্যে ওঠেন তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য।

সকাল সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা
এই সময় কর্টিসোলের মাত্রা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যা ‘কর্টিসোল জাগরণ প্রক্রিয়া’ নামে পরিচিত।

বেলা ১২ টা থেকে ১টা
এই সময় সময় কর্টিসোলের মাত্রা সকালের তুলনায় কম থাকে। এটাই এর নিয়মিত মাত্রা।

সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা
এই সময় কর্টিসোলের মাত্রা প্রকাশিত হয় এবং নিয়মিত ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে।

তাই পছন্দের পানীয় কফি খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে এগারটা। বেলা দেড়টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা অথবা সন্ধ্যা সাতটার পরে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ