নারী সবই পারে, এই হোক সংকল্প
আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীরা এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতেও আছে। এর কারণ হলো পরিবার থেকে নারীরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, তারপর চাকরি কিংবা ব্যবসায়ে নিয়োজিত হচ্ছে। বিয়ের পর নারীরা কিছুটা পিছিয়ে যায়, কারণ অনেক পরিবার নারীটিকে শিক্ষার সুযোগ দিতে চায় না।
কারও সন্তান হয়ে যায়, তবু স্বামী চাইলে বা সাপোর্ট করলে সেই নারীরা শিক্ষিত হয়ে সংসারে অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় নারীরা তার আয়ের টাকাটা নিজের মতন করে খরচ করার স্বাধীনতা পায়না। মাস শেষে বেতন পেলে পুরোটাই স্বামীর হাতে তুলে দিতে হয়। তবে স্বামী-স্ত্রীর টাকা একসঙ্গে করে সংসারে পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে গেলে সমস্যা হবে না।
নারীরা পুরুষদের তুলনায় দুর্বল নয়, সেটা অনেক পেশায় নিয়োজিত নারীরা, তা প্রমাণ করেছে। এখন যেকোনো পেশায় নারীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্য যেতে চায়, যদি পরিবারের সাপোর্ট পায়। তবে তার কর্মস্থলের পরিবেশটা নারীবান্ধব হতে হবে। না হলে নারীটি সেখানে গিয়ে বাধা পেয়ে কর্মবিমুখ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
কর্মজীবী নারীরা কিছু কিছু পরিবারে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা যদি নারীটিকে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপহার দিতে পারে, তবেই নারী অনেক বড় ডিগ্রিও অর্জন করে উচ্চস্তরে যেতে পারে।
আমাদের দেশে অনেকেই মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়ন আবার নারীকে সংসার বিমুখ করে তুলছে। তারা এখন অন্যায়, নির্যাতনকে মেনে নিতে পারছে না। আগের যুগের মতো সব কষ্ট সহ্য করে সংসারে কেউ পড়ে থাকতে চায় না। বহুবিধ সমস্যার পরিক্রমায় নারীরা সংসার ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। সেটা তার শিক্ষা আর যোগ্যতার জন্য নয়, তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষরা তাকে উপযুক্ত মূল্যায়ন করছে না।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় মনে করা হয়, নারীরা পুরুষের অধীন। সেই থেকে দুর্বল ভাবা বা নারীর কণ্ঠ রোধ করার পাঁয়তারা করা হয়। নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। নারীদের দেবীর আসনে না বসিয়ে তাদের অনেকেই দাসী হিসেবে পরিগণিত করে। সেখানেই নারী তার সম্মান হারায়। নিজের গুণগুলোর বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হয়।
আমরা নারী, সব পারি; এটাই হোক সবার সংকল্প।