প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত
সালাম সাহেবের এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। সালাম সাহেব ও তার স্ত্রী গ্রামে বসবাস করলেও দুই সন্তানই উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকার বাইরে অবস্থান করছে। আজকাল তাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে তার প্রতিবেশীরা। তাদের যেকোনো সমস্যায় সবসময় পাশে থাকেন প্রতিবেশীরা। তবে সবার যে প্রতিবেশীর সঙ্গে এমন মধুর সম্পর্ক আছে তা কিন্তু একদমই নয়। গ্রামের বেশিরভাগ চিত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সালাম সাহেব আর তার প্রতেবেশীর সম্পর্কের মতো মধুর হলেও শহের দিকে রয়েছে পুরো উল্টো চিত্র।
বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ যেন যান্ত্রিক, অনুভূতিশূন্য। সম্পর্ক যেন হয়ে গিয়েছে ছলনাপূর্ণ, আত্মকেন্দ্রিক। সম্পর্কের গভীরতা যেন কমে যাচ্ছে। সম্পর্ক বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, বিয়ে যেন ভীতির বিষয়। গা শিউরে ওঠার মতো অবস্থা। বিশাল বিশাল ভবনের বিশাল আকৃতির ফ্ল্যাটগুলোর মধ্যে দামি দামি আসবাবপত্র থাকলেও প্রাণ যেন নাই। সমাজের সব কাজে আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে পাড়া-প্রতিবেশীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য আমাদের যা করা উচিত:
আপনার বাসার চারপাশে ৪০ ঘর হচ্ছে প্রতিবেশী। তাদের সাথে পরিচিত হোন। যোগাযোগ রাখুন। দেখা হলে আগে সালাম দিন। হাসিমুখে কুশল বিনিময় করুন।
প্রতিবেশীর দেয়া যে-কোনো ছোট উপহার সাদরে গ্রহণ করুন। প্রতিবেশীর কাছ থেকে কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস তাকে না বলে আনবেন না। যদি অনুমতি নিয়ে কোনোকিছু আনতে হয়, তা অক্ষত অবস্থায় দ্রুত ফেরত দিন। ক্ষতি হলে বা হারিয়ে গেলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করুন এবং সুযোগ থাকলে কিনে দিন।
প্রতিবেশীর সাথে কোনো ধরনের বিবাদে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতিবেশীর আনন্দে শরিক হোন। তার সাথে মমতার বন্ধন গড়ে তুলুন। পাশাপাশি অবস্থানের কারণে পরস্পরের দোষগুণ সহজে জানা হয়ে যায়। এ-ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর দোষগুলো বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
প্রতিবেশীর বিপদে যথাসাধ্য পাশে দাঁড়ান। কেউ তার ক্ষতি করতে চাইলে যথাসম্ভব প্রতিহত করুন। অসুস্থ হলে দেখতে যান। পথ্য, শুশ্রূষাসহ যে সেবা তার প্রয়োজন তা সাধ্যমতো তাকে দিন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্য-সহযোগিতায় কখনো বিরক্ত হবেন না।