কিশোরীর কৃষ্ণচূড়ায় আঁতকে ওঠা!
সেদিন শেষ বিকেলের লালচে আভায়,
কি যেন সে ভাবছিল পূর্ণতার পাওয়ায়।
তবে কিরণমালী অস্ত গেলেই কি শেষ?
কোমলমতী যে রক্তিমা অধ্যায় নিয়েই আছে বেশ!
চঞ্চল সে দিনগুলি আছে শৈশবের পাতা জুরে,
কত যে স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছিল বহ্নিশিখায় পুড়ে।
সবকিছুর যে শেষ হলেই শেষ নয়,
স্বপ্নের নতুন সূর্য দেখে কেটে যায় ভয়।
কৃষ্ণচূড়ার লালে যে ভালোবাসা?
কিশোরীর কৃষ্ণচূড়ায় সে লুকিয়ে থাকে কষ্ট আর আশা!
চাওয়া পাওয়ার পাল্লাটা খালি পরে থাকে কত,
জীবনে তার অনেক গল্প বকুল ফুলের মত।
তাও যদি বলি নিছকই গল্প,
হয়ে যাবে না তা খুবই অল্প?
প্রতিদানে তারা ভালোবাসা নিয়েই সন্তুষ্ট,
সেই ভালোবাসাটা হয়ে থাকে যদি শুভ্র স্নিগ্ধ।
অল্প যত্নে স্নেহেই নারী হয়ে ওঠে আরক্তিম,
যার বিনিময় বিলানোর নেই কোন অন্তিম।
পরিণত মমতাময়ীর জীবনের প্রতিটি পাতা,
জগতের প্রতি যেন তার দায়িত্বের ছাতা।
কিশোরী সে কোমলমতী তেমনি নারী মমতাময়ী,
জীবনের কালক্রমে যে হয়ে ওঠে মহীয়সী।
তার ঝরা বকুলের গল্প শোনার ত নেই কেউ?
তারায় তারায় গল্প রটবে, অনন্যায় হবে ঢেউ।