প্রসব পরবর্তী ওজন নিয়ন্ত্রণে কী করবেন
একজন মা সন্তানকে দশ মাস গর্ভে ধারণ করেন। এই গর্ভকালীন সময়ে বেশিরভাগ মায়েদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। যা শারীরিক সৌন্দর্যকে যেমন ব্যাহত করে তেমনি নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার জন্ম দেয়। আবার সন্তানকে বুকের দুধ পান করান বলে অনেকেই এই অতিরিক্ত ওজন কমাতে তেমন উদ্যোগ নেন না। অথচ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে চললে অল্প সময়েই এই অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। চলুন তবে জেনে নি এমন কিছু টিপস যা আপনাকে মাতৃত্বকালীন সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে।
জন্মের পর থেকেই সন্তানকে স্তন্যপান করান। এটি আপনার ওজন দ্রুত কমে যাওয়ার এটা একটা অন্যতম কারণ হতে পারে।
স্তন্যপান করানোর সময় মা যদি বেশি খাবার না খান, তাহলে সন্তান পর্যাপ্ত খাবার পাবে না বলে এক ধরনের ভ্রান্ত ধারণা আছে আমাদের সমাজে। যে কারণে বাচ্চা হওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার খেয়ে মুটিয়ে যান মায়েরা। অতিরিক্ত খাবার নয়, এই সময় মায়ের খেতে হবে পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার। মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান, তবে তাঁর সন্তানও পর্যাপ্ত খাবার পাবে। যে কারণে সন্তান জন্মের পর থেকে পুষ্টিকর খাবারের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারেন। সে তালিকায় প্রতিদিন রাখতে পারেন এক গ্লাস দুধ, যেটা নতুন মায়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাবার। পাশাপাশি প্রতিদিন লাউ এবং কালোজিরা খেতে পারেন।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর নতুন মাকে বিভিন্ন রকম ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে দেওয়া হয়। অনেক মা তা অবহেলা করেন। এ কারণে পরবর্তী সময়ে চুল ও ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় । মা হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন নিয়মিত খেতে হবে।
সন্তান জন্মের দেড়-দুই মাস পর অর্থাৎ শারীরিক ভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ার ধকল সামলে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন। তবে এই ব্যায়াম অবশ্যই যার যার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
অস্ত্রোপচারের পরদিন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেটে বেল্ট বাঁধুন । যে কারণে পেটের ত্বক ঝুলে যাওয়ার সমস্যাটি হবেনা।
এমনকি মা হওয়ার আগে থেকেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শরীরচর্চা করতে পারেন।
অনন্যা/এসএএস