Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোরা-সানি লিওনসহ বিদেশি শিল্পীরা এলে কেন উন্মাদনা তৈরি হয়

বিদেশি কোনো শিল্পী বা ব্যান্ড বাংলাদেশে এলে বাংলাদেশে অনেক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য যে উত্তেজনা হয় না তা বিদেশ থেকে কেউ আসলে এজন্য হয়। এই বিষয়ে তরুণরা একেকজন একেক ধারণা পোষণ করেন।

নোরা, ওটিলিয়া, বিটিএস কিংবা সানি লিওন বাংলাদেশে আসলে ব্যাপক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে সুমাইয়া শার্লি বলেন, ‘তিনি বিটিএস অনেক পছন্দ করেন। বিটিএস দক্ষিণ কোরিয়ান ৭ সদস্যের বয় ব্যান্ড। তারা তাদের গানের মাধ্যমে ভালোবাসা, সাহিত্য ও নানা বিষয় ফুটিয়ে তোলে। এ কারণেই তিনি বিটিএসকে অনেক পছন্দ করেন। শুধু তিনিই না তার মতো অনেকেই আছেন তার আশেপাশে যারা বিটিএস পছন্দ করেন।’ তিনি বলেন, ‘এই পছন্দের জন্যই কোরিয়ান এই ব্যান্ডের প্রতি তাদের একটি দুর্বলতা কাজ করে। তাই যখন পছন্দের ব্যান্ডটি আসার কথা শুনে তাদের উন্মাদনা বেড়ে যায়। তারা সবাই প্রিয় ব্যান্ডকে একবারের জন্য হলেও দেখার ইচ্ছে পোষণ করে আর এ কারণেই তাদের মধ্যে একটা উন্মাদনা দেখা যায়।’

মৌপিয়া রায় নিজের পছন্দের কোনো বিদেশি শিল্পী বাংলাদেশে এলে উন্মাদনার কারণ হিসেবে বলেন, ‘বিদেশি শিল্পীরা সবার ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে থাকে না। তাই যখন তারা নিজ দেশে আসে, তাদের মধ্যে একটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, সামনে থেকে প্রিয় শিল্পীকে দেখার কারণে। নোরা, ওটিলিয়া, সানি লিওনের মতো শিল্পীদের তো এই দেশে ভক্তের অভাব নেই। এ কারণেই তারা যখন আমাদের দেশে আসেন, তখন মানুষের মধ্যে উন্মাদনা জেগে ওঠে। ঠিক যেমন তার প্রিয় কোনো শিল্পী দেশে এলে সে এদিক-সেদিক না তাকিয়েই কিভাবে তাদের দেখা করা যাবে, সে চিন্তা করেন; ঠিক সেভাবেই অন্যরাও চিন্তা করে।’

আজমেরী আজিজ পাকিস্তানি ও কোরিয়ান সিনেমা বা নাটক অনেক পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘কোরিয়ান ও পাকিস্তানি ড্রামা অনেক পছন্দের। শুধু আমিই না, বর্তমানে অনেকেই আছেন, যারা বাংলাদেশি নাটক সিনেমার চেয়ে বিদেশি নাটক সিনেমা পছন্দ করেন। আর এই পছন্দের রেশ ধরেই যখন বিদেশি কেউ দেশে আসে, তখন তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। আসলে নিজের পছন্দের মানুষগুলো বিদেশি হওয়ায় তাদের দেখার সুযোগ সবসময় হয় না। এ কারণেই বিদেশি শিল্পীরা এলে সবার মধ্যে এত উত্তেজনা আসে।’

নাদিয়া হাসিবা তার উন্মাদনার কারণ হিসেবে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আসলে নিজের দেশের মানুষের তুলনায় বিদেশি শিল্পীদের প্রতি বেশি দুর্বল। আর এই দুর্বলতার প্রকাশ ঘটে তখন, যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসেন। তখন একপলক দেখার জন্য ভক্তরা ভিড় করেন।’ তিনি আরও বলেন, আসলে তারা হাজারো চেষ্টা করেও পছন্দের মানুষদের কাছে যেতে পারবে না। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে হয়তো। আর মূলত এ কারণেই বাংলাদেশে বিদেশি কোনো শিল্পী এলে এদেশের মানুষের মধ্যে একটা উত্তেজনা ও উন্মাদনা তৈরি হয়।’

অনন্যা/এসএএস

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ