এই শহরে
বাসস্টপে দাঁড়ালেই আজকাল কান্না পায়,
হৃদপিণ্ডের শূন্যস্থান গুলো প্রশ্ন করে
আমি কবে শহরে আসি, কবে আবার ফিরে যাই,
আমার পাশের সিটের মানুষটা কেমন,
আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা,
তুমি কি আজো খোঁজ রাখো
নাকি গল্প লিখো অভিমানে?
জ্বরের ঘোরে তুমি কার নাম ধরে ডাকো,
মধ্যরাতের অন্ধকারে কার ছায়া দেখো?
তোমার কি আজো মনে পড়ে
আমি একা ঘুমাতে পারি না।
ঘোর অন্ধকারে আমার ভীষণ ভয় করে।
রাস্তা পেরোতেই আমার পা কাঁপে
আমি থেমে যাই, তোমার সে কথা মনে পড়ে আজো?
নাকি শুধু কবিতার কোনো এক কোণে আমার নামের উপমা তুলে রাখো?
অথচ এ শহরে এলেই আমার সবকিছু বৃথা লাগে
ভিড়ের মাঝে আমার চোখ দুটো তোমাকে খোঁজে
আমি নিজেকে সামলাতে পারিনা,
ব্যস্ত শহরের মত আমার হৃদপিণ্ডে হাঁকডাক বেড়ে যায়।
তুমি কি আজো সেসব খোঁজ রাখো?
নাকি ভালোবাসা ফুরিয়ে যাওয়ার,
সম্পর্ক চুকে যাবার আগেই সবটা তুলে দিয়েছো!
এমন টানাপোড়েনের ভার নিয়েই
আমি বারবার এ শহরে আসি।
মনের কোথায় যেন একটা আশা থেকে যায়,
তোমাকে খুঁজে যাওয়া আমার চোখ দুটো হয়তো দেখতে পাবে তোমার ছায়া।
আর প্রতিবার সব মিথ্যে নিয়ে ফিরে যাই অন্য শহরে,
দূরের আকাশ সাথে চলে
শুধু পথ ফুরিয়ে যায়।