Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনিই ছিলেন অনন্যার প্রথম সাহিত্য পুরষ্কারের অধিকারী

গুটি গুটি পায়ে ৩৩ বছর থেকে ৩৪ বছরে পদার্পণ সময় টা দীর্ঘ তবে সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে অনন্যা। নারীদের প্রতিবন্ধকতা থেকে অগ্রযাত্রার পথ প্রশস্ত করে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাক্ষিক অনন্যা। নারী সফলতা ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরতে এবং তাদের সম্মাননা দিতে অনন্যা দিয়ে আসছে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার ও অনন্যা শীর্ষ দশ পুরষ্কার। 

১৯৯৩ সাল থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। গত ২৮ বছর থেকে নারীদের অগ্রযাত্রায় অনুপ্রেরণা দিতে এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর একজন কৃতী নারী-সাহিত্যিক অথবা সাহিত্য-গবেষককে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আজ অনন্যা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক নজরে ফিরে দেখা যাক ১৯৯৩-র অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার। ১৯৯৩ সালেই প্রথম অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার দেওয়া হয়। বাংলা ভাষার কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৩’ পেয়েছেন সেলিনা হোসেন। তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তার লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাঁর গল্প উপন্যাস ইংরেজি, রুশ, মেলে এবং কানাড়ী ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

তিনি বাংলা একাডেমির 'অভিধান প্রকল্প', 'বিজ্ঞান বিশ্বকোষ প্রকল্প', 'বিখ্যাত লেখকদের রচনাবলী প্রকাশ', 'লেখক অভিধান', 'চরিতাভিধান' এবং 'একশত এক সিরিজের' গ্রন্থগুলো প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০ বছরেরও বেশি সময় 'ধান শালিকের দেশ' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক হন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তাঁর মোট উপন্যাসের সংখ্যা ৩৫টি, গল্প গ্রন্থ ১৩টি, ২২টি শিশু-কিশোর গ্রন্থ এবং প্রবন্ধের গ্রন্থ ১০টি। এছাড়াও ১৩টি সম্পাদনা গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, অনন্যা ১৯৮৮ সাল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। অনন্যা ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সামাজিক ভাবে বিভিন্ন সফল নারীদের ১৯৯৩ সাল অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার শীর্ষক বার্ষিক পুরষ্কার দেওয়া হয়। 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ