Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্সেনিক রোধে সোনো ফিল্টার

'বিশুদ্ধ পানি হল পৃথিবীর প্রথম এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ' সুস্থ থাকার ও রোগ প্রতিরোধ করার জন্য মানুষের শরীরে প্রতিদিন পানির প্রয়োজন হয়। তবে এই প্রয়োজনীয় পানিই যদি হয় দূষিত তাহলে হয়তো বিপদজনক পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়তো আর বেশি দেরি নেই। দেশের নানান অঞ্চলে এখনো রয়েছে আর্সেনিকের প্রকোপ। প্রাকৃতিক কারণে আর্সেনিক দূষণ হয়ে থাকে। মাটির নিচে আর্সেনিক খনিজ থাকে। এ খনিজ ভূ-গর্ভের পানির স্তরের সংস্পর্শে এলে তা পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। তবে এ সমস্যার সমাধানেই আবিষ্কৃত পরিবেশ ও মানব বান্ধব আর্সেনিক সোনো ফিল্টার।

 

এই ফিল্টার এর কাজ পানি থেকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক দূর করা। সোনো ফিল্টার অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পানিতে থাকা আর্সেনিকের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। যা মানবদেহের জন্য গ্রহণযোগ্য সঠিক মাত্রা। মানবদেহে যখন আর্সেনিকের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তখন সে অবস্থাকে আর্সেনিক বিষক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘসময় ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি খেলে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব শরীরে দেখা যেতে পারে। 

 

সোনো ফিল্টারের প্রধান অংশ হল পানি থেকে আর্সেনিক পৃথকীকরণে সক্ষম একটি আয়রন ছাঁকনি। এই ছাঁকনিটি অনেকটা চুম্বকের মত কাজ করে পানির আর্সেনিকের সাথে ছাঁকনিতে থাকা লোহার সাথে রাসায়নিক বন্ড গঠন করে। এই ছাঁকনিটির ভর প্রায় ২০ পাউন্ড। এছাড়াও সোনো ফিল্টারে কাঠকয়লা, বালি ও ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়।

 

অধ্যাপক হুসসাম তাঁর নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তারঞ্চলে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে এই ফিল্টারটি তৈরি করেন। তিনি এমন একটি সস্তা ও সহজলভ্য সমাধান খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন। যাতে সাধারণ মানুষ যেকোনো ভোগান্তি ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। যা প্রচলিত আর্সেনিক মুক্ত করার ব্যয়বহুল ও দুষ্প্রাপ্য পদ্ধতির ধারণাকে আমূল পাল্টে দেয়। সোনো ফিল্টার মূলত ভূগর্ভস্থ মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে এই ফিলটার পানি থেকে মাত্রাতিরিক্ত লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ ও বিভিন্ন ধরনের ট্রানজিশন মেটাল আয়নও দূর করে।

 

২০০৬ সালে অধ্যাপক আবুল হুসসাম সোনো ফিল্টার আবিষ্কার করেন। তিনি পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার কাজে বেশ কয়েক বছর গবেষণার পর ও প্রায় ১০০ এরও বেশি প্রোটোটাইপ তৈরি করার পর সোনো ফিল্টার তৈরি করতে সক্ষম হন। অধ্যাপক হুসসাম একজন বাংলাদেশী ও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিদ্যার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

 

ত হবে দেশের মানুষ। সঠিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে হয়তো এর ক্ষতি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ