ভয়ংকরী কটন বাড!
প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা নিজেদের পরিবর্তন করছি। আমরা তৈরি করে নিচ্ছি নতুন সমাধান। অধিকাংশ মানুষেই সীমিত সময়ের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিজের একটি ভয়ানক ক্ষতি করে যাচ্ছে প্রত্যহ। কটন বাড শব্দটির সাথে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ অবধি সকলে পরিচিত। বর্তমান সময়ে তো এমন দেখা যাচ্ছে কোম্পানি গুলো বেবি কটন বাড তৈরি করছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন কান রোজ পরিষ্কার করা ভালো নয়। কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন। সুযোগ পেলেই কান খোঁচানো, এ অভ্যাস অনেকেরই আছে। ভাবছেন হয়ত, এক সাথে দুই কাজ হচ্ছে! কান পরিষ্কার থাকছে, আরামও হচ্ছে। কিন্তু বিপদ আরও বাড়ছে।
অধিকাংশ লোকের ধারণা, বাড়িতেই নিয়মিত কান পরিষ্কার করা উচিত। কটন বাডই কান পরিষ্কারের সবচেয়ে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য উপায়। তবে গবেষণা বলছে, এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কানের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারদের কাছে যে লম্বা লাইন পড়ে তার মধ্যে অনেকেরই সমস্যার কারণ কটন বাড ব্যবহার।
সিএনএন এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৬৫ শতাংশ কানের প্রদাহ এর পূর্বের কারণ কটন বাড নিয়মিত ব্যবহার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে অতিরিক্ত কটন বাড ব্যবহার এর ফলে কানে পয়জন কিংবা ফোড়া জাতীয় রোগের আর্বিভাব হয়েছে।
কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের ভিতরের ময়লা আরও বেশি ভিতরে ঢুকে যায়। কানের পর্দার আরও কাছে পৌঁছে যায় ময়লা। কানের মধ্যে থেকে যতটা না ময়লা বের হয়, তার চেয়ে বেশি ভিতরেই থেকে যায়। কানে ক্ষত সৃষ্টির আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। আঘাত লাগলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শোনার ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের ভারসাম্য।
কানের ময়লা সাধারণত বিশেষ কারণ ছাড়া আলাদাভাবে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। কানের ভেতর থেকে এক আশ্চর্য তরল নিঃসৃত হয়। যা কিনা সম্পূর্ণ কান পরিষ্কার করতে সক্ষম। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে। প্রয়োজন হলে কান পরিষ্কারের জন্য ডাক্তারের কাছেই যাওয়া উচিত।
কথায় বলে "অতি সুখে মহা দুখ"। কটন বাড ব্যবহার করে সাময়িক স্বাচ্ছন্দ্য তো পাচ্ছেন কিন্তু একবার কল্পনা করুন আপনার শ্রবণ ইন্দ্রিয়টির কাজ করার শক্তি হারিয়ে গেলো? কানের সুস্থতার জন্য তাই এখনই ছাড়ুন কটন বাড। নয়ত বিপদে পা বাড়াচ্ছেন আপনি নিজেই। সুস্থ থাকুন ঘরে থাকুন।