Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবা ফুলের চা পানের উপকারিতা 

'চা'  দিয়ে সকালটা শুরু হয় প্রায় সবারই। ঘুম থেকে উঠে কম বেশি সবাই 'চা' পান করতে পছন্দ করেন। 'চা' হল একটা ভালো লাগা। এক কাপ 'চা' পারে অনায়াসেই আপনার ক্লান্তি দূর করতে। 

 

'চা' তে রয়েছে অনেক পদ। সবাই সবার পছন্দসই 'চা' পান করে থাকে। কেউ দুধ চা , কেউ লাল চা , কেউ বা সবুজ চা পান করছে। কিন্তু কখনো কি 'ভেষজ' চা পান করেছেন? অনেক রকম ভেষজ চা রয়েছে। যাদের পুষ্টিগুণ ও অনেক বেশি। এর মধ্যে 'জবা ফুলের চা' অন্যতম।

 

'জবা ফুলের চা' এর গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। কেননা এর পুষ্টিগুণ এতো বেশি যে কোনটাই বাদ দেওয়া যাবে না। সেই বহুকাল আগে থেকেই আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা জবা ফুলের স্বাস্থ্য উপকারের কথা বলে আসছেন। 'জবা ফুলের চা' স্বাস্থ্য উপকারের বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

 

তাই তো যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে এই চা। আধুনিক গবেষণাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, রক্তজবার এক্সট্রাক্ট নিয়মিত পান করলে কমে যাবে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারিড। তাছাড়া রক্তচাপ কমাতেও এটি বেশ ভালো কার্যকর।

 

'জবা ফুলের চা' শুধু শরীরের কাজ করে না, সাথে করবে ত্বকের ও কাজ। এতে আছে 'অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে' ভরপুর। যেটি আমাদের ত্বক ভালো রাখতে এমনকি ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে সহায়তা করে থাকে। কারণ এতে আছে ওমেগা-৩ ও আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড। যা ত্বককে সুস্থ রাখবে এবং পুষ্টি দিবে। 

 

অনেক শুনলাম তো এই 'জবা ফুলের চা' এর গুনাগুণের কথার। এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে বানাবেন এই পুষ্টিকর 'জবা ফুলের চা' । যা যা উপকরণ লাগবে,

৩-৪টি লাল অথবা গোলাপি রঙের জবা ফুল, একটি মাঝারি আকারের লেবু, ১ টেবিল চামচ মধু, ২ কাপ পানি।  
 

বানাতে হবে যেভাবে, 

প্রথমে জবা ফুল ভালো ভাবে পরিষ্কার করে পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। যতক্ষণ না পানি অর্ধেক হবে ততক্ষণ অব্দি ফোটাতে থাকুন। পানি অর্ধেক হয়ে এলে এর মধ্যে  মধু ও লেবুর রস যোগ করলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার জবা ফুলের চা।

 

বিভিন্ন পুষ্টিগুণ থাকাই এই চা অনেক উপকারী সবার জন্য। যদি সুস্থ সবল এবং ভালো থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত পান করুণ এই 'জবা ফুলের চা'।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ