Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোয়ার রান্নায় বাজিমাত অস্ট্রেলিয়া

বিশ্ব দরবারে যখন কোন বাঙালিকে বা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতকে দেখা যায়, মনটা তখন এমনিতেই খুব ভালো হয়ে যায়। বাইরের দেশে কোন বাঙালি যখন পৌছায় উচ্চ পর্যায়ে তখন যেন আনন্দের সীমা থাকেনা। এটিই হয়তো জাতিগত ভাতৃত্ববোধ। যুগে যুগে অনেক বাংলাদেশীই বিশ্ব দরবারে নিজের জায়গা স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। তারা পরিবেশন করেছেন আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে। এমনই একজন হলেন কিশোয়ার চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ায় বসে তিনি বাজিমাত করেছেন পুরো বিশ্বকে। মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরে জায়গা করে নিয়েছেন এই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শেফ।

 

কিশোয়ার রান্নায় বাজিমাত অস্ট্রেলিয়া

 

বিশ্বে মাস্টারশেফ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষের দিকে রয়েছে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’। এটি প্রতিযোগিতামূলক রান্নার একটি গেম শো। বিখ্যাত এই রিয়েলিটি শো তে রান্নার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পার করতে হয় বেশ কয়েকটি ধাপ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী একে একে সব ধাপ জয় করে পৌঁছে গিয়েছে ফাইনালে। রুবি চিকেন কারি তৈরি করে বিচারকদের মন জয় করে আগামী রবিবার তিনি যাচ্ছেন ফাইনালে। আর মাত্র এক ধাপ পেরুলেই বিজয়। 

 

কিশোয়ার রান্নায় বাজিমাত অস্ট্রেলিয়া

 

কিশোয়ার চৌধুরীর বাবা বাংলাদেশি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান। মা’র বাড়ি কলকাতায়। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশায় কিশোয়ার একজন ‘বিজনেস ডেভেলপার’। দুই সন্তানের মা কিশোয়ার সন্তানদের জন্য বাংলাদেশি খাবার রান্না করতে গিয়েই পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন নানান রেসিপি। 

 

কিশোয়ার রান্নায় বাজিমাত অস্ট্রেলিয়া

 

কিশোয়ার বিশ্ব দরবারে আমাদের দেশীয় খাবার পরিবেশন করে বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন অতি উচ্চ পর্যায়ে। কালা ভুনার রেসিপি দিয়ে মাতোয়ারা করেন মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের। তারপর বিশ্বজয় করে তার রান্না মাছের ঝোল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কিশোয়ার চৌধুরী বিচারকদের হাততালি কুড়োন চিরচেনা আলুর দমের ফুচকা, চটপটি আর সমুচা বানিয়ে। এভাবেই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের তাক লাগিয়ে চলছেন কিশোয়ার।

 

কিশোয়ার রান্নায় বাজিমাত অস্ট্রেলিয়া

 

আমরা যেখানে দিন দিন বিদেশী খাবারের দিকে ঝুঁকছি সেখানে তিনি দেশি খাবারেই করছেন বিশ্বজয়।তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন আদলে যতই চাইনিজ, কোরিয়ান বা অন্য কোন পশ্চিমা খাবারে ঝুঁকি না কেন দেশি খাবারের তুলনা হয়না। আমাদের স্ট্রীট ফুড ফুচকা, চটপটি এগুলোতে লুকিয়ে আছে যে স্বাদ তা হার মানায় যেকোন বিদেশী খাবারকে।

 

কিশোয়ার রান্নায় বাজিমাত অস্ট্রেলিয়া

 

কিশোয়ার কাজে বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি আমরা। আশা করি তিনি আরো এগিয়ে যাবেন এবং এগিয়ে নিয়ে যাবেন বাংলাদেশকে।

 

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ