মেদ নিয়ে বিব্রত?
ভুড়ি বেড়ে যাওয়া যেন এখন যেকোনো সহজ কাজের থেকেও সহজ। সারাদিন বসে বসে কাজ করা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে অনিয়ম নানা কারণে ভুঁড়ি বাড়ে। আর এই ভুঁড়ির জন্যই পড়তে হয় বিপাকে। ভাবুন তো পার্টিতে যাবেন বলে একটা সুন্দর ফিটিং ড্রেস পড়লেন আর মাঝখান থেকে ভুঁড়িটা বেরিয়ে আছে। কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসলেন আর শার্টের বোতাম ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে ভুঁড়ি। আর বন্ধুদের বুলিংয়ের তো যন শেষ নেই।
এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে সাহায্য করবে রান্নাঘরের সহজ একটি উপদান। কি চিন্তায় ফেলে দিলাম? ভাবছেন কি আছে এমন রান্নাঘরে? আরে মশলার জারটা খুললেই পেয়ে যাবেন। জিরার কথা বলছিলাম।
জিরা মশলা হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয় বলেই জানি আমরা। স্বাদ বৃদ্ধিতে কাজ করলেও এটির রয়েছে আরো অনেক গুণ। আমাদের সকলের জন্যই ওজন বেড়ে যাওয়া আসলেই একটা ডিপ্রেশনের বিষয়। এক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকায় নিজেকে ফিট রাখা যায়। এদের মধ্যে জিরা অন্যতম। জিরাতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে পারে। ফলে হজম শক্তি বাড়ে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নার থেকে জিরার শরবত করে খাওয়া বেশি কাজে দেয়। কারণ রান্নার মাধ্যমে জিরার অনেক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই জিরা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীর জিরার কার্যকরী উপাদান সহজে গ্রহণ করতে পারে।
দিনে সর্বোচ্চ তিন থেকে চারবার খেতে পারেন জিরা পানি। সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। তা ছাড়া খাবার খাওয়ার আগে বা ভারী খাবারের আগে জিরা পানি খেতে পারেন। প্রয়োজনে জিরা পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
তবে মনে রাখা দরকার, শুধুমাত্র জিরার পানি ওজন কমাতে পারবে না। বাইরের খাবার, বেশি তৈলাক্ত খাবার বাদ দিতে হবে, সেই সঙ্গে ব্যায়াম করতে হবে। তাহলেই জিরা পানিতে দ্রুত ওজন কমবে।