ইউএই প্রবাসী বাংলাদেশী নারী পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মাননা
একাডেমিক প্রসারে অবদান রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংগঠন ইউরোপিয়ান নেটওয়ার্ক ফর একাডেমিক ইন্টেগ্রিটি প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন শিক্ষক ও গবেষকদের এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে। এবছর এক্সেমপ্লারি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা পেয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশী নারী জিনাত রেজা খান।
তার পিতা প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান এবং মাতা অধ্যাপিকা নুরুন নাহার হুদার সঙ্গে ছোটবেলা থেকে তিনি আমিরাতে বেড়ে উঠেছেন। পড়ালেখা করেছেন এই আমিরাতেই। বর্তমানে তিনি দুবাইয়ের ইউনিভার্সিটি অব ওলংগংয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
ইউএইতে একাডেমিক নৈতিকতাবিষয়ক গবেষণায় জিনাত খানকে অগ্রগামী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৪ সালে এই বিষয়ের ওপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে তাঁর বেশ বর্ণাঢ্য পেশাজীবন। মধ্যপ্রাচ্যে তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৫ সাল থেকে একাডেমিক নৈতিকতাবিষয়ক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ের ওপর জিনাতের প্রায় ৮০টি গবেষণাপত্র রয়েছে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাময়িকী ও বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। ইউএইতে একাডেমিক নৈতিকতাবিষয়ক গবেষণায় অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর একাডেমিক ইন্টেগ্রিটি ইন দ্য ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক নৈতিকতা বিষয়ে সেমিনার, সম্মেলন ও কর্মশালা পরিচালনা করেছেন জিনাত। এ ছাড়াও দ্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থার সম্পাদনা পর্ষদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে জিনাত খানের।