Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাসের সেই কাসাম রকেট 

ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাযা নিয়ন্ত্রণ করে মূলত হামাস। তাদের সর্বাধিক ব্যবহৃত রকেট হচ্ছে কাসাম রকেট। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস কাসাম রকেট ব্যবহার করে।   এর নির্মাণ ও ডিজাইন করেছে হামাস এর সামরিক উইং লাযয আদ-দ্দিন আল কাসাম ব্রিগেড। ২০০১ সালে সার্ভিস এ আসা এই রকেট হয়ে উঠেছে হামাসের প্রথম পছন্দ। কাসাম রকেট খুব একটা শক্তিশালী নয়।এটা সর্বোচ্চ ১৬ কিলোমিটার দুরে আঘাত হানতে সক্ষম।যদিও বেশিরভাগ কাসাম রকেট নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতে করতে সক্ষম নয়।এর দ্বারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খুবই সীমিত। কাসাম ছাড়াও উন্নতমানের মিসাইল হামাসের কাছে আছে। তবুও ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে হামাস এই রকেট ব্যাবহার করে। কিন্তু কেন? যেখানে ইসরাইল কতো শক্তিশালী মিশাইল ব্যবহার করে বোমা হামলা চালায় সেখানে হামাস কেন এই দুর্বল রকেট সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে? এর কিছু কারণ রয়েছে। কাসাম রকেট হামাসের কিছু উদ্দেশ্যকে পূরণ করতে সক্ষম হয়।

 

প্রথমত, হামাস এই রকেট ছুড়ে ইজরাইলি অত্যাচার ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।

 

দ্বিতীয়ত, এই রকেট ইজরায়েলের অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম। ইজরায়েলের দিকে ছোড়া বেশিরভাগ রকেট লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত পৌছাতে পারেনা।ইজরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোমের ইন্টারসেপ্টর রকেট মাঝপথে এগুলিকে নষ্ট করে দেয়।একটা কাসাম রকেটের দাম প্রায় ৮০০ ডলার কিন্তু একটা তামির ইন্টারসেপ্টর রকেটের দাম প্রায় ৪০০০০ ডলার।অর্থাৎ প্রতিটি কাসাম রকেটকে প্রতিহত করতে ইজরায়েলের যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয়।

 

তৃতীয়ত, আয়রনডোম সমস্ত কাসাম রকেটকে প্রতিহত করতে পারে না।এর সফলতার হার ৯০ শতাংশ অর্থাৎ বেশ কিছু কাসাম রকেট ইজরায়েলের ভেতর নিক্ষিপ্ত হয় এবং ক্ষতিসাধন করে।গাজা থেকে ইস্রায়েলে একটা রকেট আছড়ে পড়তে ১৫-৪০ সেকেন্ড সময় লাগে। ইজরায়েল আয়তনে খুবই ছোট এবং এর প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণও অনেক কম তাই ইজরায়েল তাদের জমি, জল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদগুলিকে সুস্থভাবে ব্যাবহার করে।কাসাম রকেটের ভয়ে ইজরায়েল গাজার সীমান্তবর্তী এলাকাতে কল কারখানা,স্কুল কলেজ ,বসতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারে না।এটা ইজরায়েলের একটা ব্যর্থতা।

 

চতুর্থত, যুদ্ধের সময় কাসাম রকেটের ভয়ে ইজরায়েল তার নাগরিকদের গাজার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।এতে নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়। তাদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার হয়।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ