পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ
আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এটি । এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ বা সিদ্ধার্থের জীবনের তিনটি ক্ষণের স্মৃতিতে ঘেরা। সিদ্ধার্থের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণের সেই তিন ক্ষণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে একে বৈশাখী পূর্ণিমাও বলা হয়। বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সব স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছেই বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এ দিনটিকে জাতিসংঘ ‘বৈশাখ ডে’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে নেপালের লুম্বিনী কাননে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। আবার ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একই দিনে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন তিনি। আর এ কারণেই এ তিথিকে বলা হয় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই জগতে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল বৌদ্ধ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা, পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, পাহাড়ি-বাঙালি বিভিন্ন বৌদ্ধ জাতি নির্বিশেষে সর্বস্তরের নর-নারী, ছাত্র-যুব ও সংস্কৃতিসেবীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জাতীয়ভাবে সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্র্রীতি উৎসব আয়োজন করে আসছে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে এই উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হবে। শুধু বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদানের মতো আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকবে তারা।