Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে ঠোঁটের যত্ন

শীতকালে ঠোঁট ফাটা অন্যতম একটি সমস্যা। শীত পড়তে না পড়তেই ঠোঁট ফাটা শুরু হলেও শীতকাল যাওয়ার পরও এই সমস্যা যায়না। আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ায় কিছুক্ষণ পরপর ঠোঁট শুকিয়ে আসে। এই সময় ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা অন্য লিপজেল না দিলে ঠোঁট ফেটে যায়। কেবল ঠোঁট ফাটাই নয়, ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যায়, ঠোঁটের চামড়া উঠে যায় এবং ঠোটের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। ঠোঁট প্রাণহীন দেখায়। শীতের আর্দ্রতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠোঁট। তাই শীতকালে ঠোঁটের যত্ন নেয়াটা খুবই প্রয়োজন। 

ঠোঁট ফাটলে ব্যথা হয়, অনেক সময় রক্তও বের হয়। আবার ঠোঁট ফাটলে দেখতেও খুব বাজে লাগে। এ ছাড়া ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক দিলে দেখতেও খারাপ লাগে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই ঠোঁটের এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। 

 

 

শীতে ঠোঁটের যত্নে এই পদ্ধতিগুলো কাজে লাগাতে পারেন:

 

১। শীতের শুরু থেকেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। বাইরে গেলে লিপবাম অথবা লিপজেল সবসময় সাথে রাখা ভালো।

২। সপ্তাহে একবার আধা চামচ চিনি ও কোল্ড ক্রিম একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে মাখিয়ে রাখুন।

 

৩।শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এমন লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। ঠোঁটে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক লাগাতে হবে। এসময় ম্যাট লিপস্টিক পরিহার করাই ভালো।

 

.৪। লেবু ও চিনি একসাথে ঠোঁটে ২-৩ মিনিট স্ক্রাব করা উচিত। সপ্তাহে দুই/তিন দিন এই স্ক্রাব করতে পারেন।

৫। কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ও সামান্য মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে প্রতিদিন এটি লাগাতে পারেন।

৬। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি খেতে হবে। এতে ঠোঁট ময়েশ্চার থাকবে। এতে শরীরের তথা ঠোঁটে পানির ঘাটতি থাকবে না। 

৭। ঠোঁট ফাটলে মরা চামড়া আঙ্গুল দিয়ে উঠানো যাবে না। রাতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে পরেরদিন সকালে পাতলা কাপড় দিয়ে ঘষলেই মরা চামড়া উঠে যাবে।

৮। অনেকেই ঠোঁটের শুষ্কতা রোধের জন্য জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় ঠোঁট ফেটেও যায় এর কারণে। তাই ঠোঁট শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত।

৯। রাতে শোবার আগে আমন্ড অয়েল মাখিয়ে রাখলে ঠোঁট সুস্থ থাকে।

১০। ঠোঁটের মসৃণতা বজায় রাখতে স্ট্রবেরির ক্বাথ, মধু ও দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।  ১৫/২০ পর ধুয়ে ফেলুন।

১১। ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১০ পর আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

১২। লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। নন ব্র্যান্ডের বা কম দামি  লিপস্টিক ঠোঁটের অনেক ক্ষতি করে। তাৎক্ষণিক ভাবে না হলেও ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়।

 

সুন্দর ঠোঁট মুখের সৌন্দর্য অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়। সুন্দর ঠোঁটের হাসি কার না দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু শীত আসলেই ঠোঁটের সৌন্দর্য কোথায় জানি হারিয়ে যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলা সম্ভব।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ