কম বয়সে চুল পাকা রোধ করতে করণীয়
অল্প বয়সে অনেকেই চুল পাকা সমস্যায় পড়েন। ফলে লোক লজ্জায় তারা নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন। এটি আসলে বড় কোনো সমস্যা নয়। খুবই সাধারণ সমস্যা। এটি মূলত হয়ে থাকে হরমোনের কারণে। এছাড়া আরও নানাবিধ কারণে অল্প বয়সেই চুল পেকে যেতে পারে।
সঠিক ঘুম, খাবার, অশান্তি প্রভৃতি কারণ ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে চুল পাকার। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে কম বয়সে চুল পাকা রোধ করতে পারবেন সহজেই।
প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন দুধ, ডিম, মাংস, বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজি, যেগুলোতে প্রোটিন ভালো পরিমাণে আছে ইত্যাদি খাবার বেশি পরিমাণে বা সঠিক পরিমাণে না খাওয়ার ফলে অকালেই চুল পাকতে শুরু করে। এই প্রোটিন যদি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় না থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যের আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অকালে চুল পাকা রোধ করতে খাদ্য তালিকায় রাখুন অধিক পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার।
ধূমপানের মতো বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এটি শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি চুলের জন্য ও ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণে ধূমপান করার ফলে চুল পড়ে যাওয়া, চুল পেকে যাওয়া। এছাড়া ফুসফুসের রোগ ও হয়ে থাকে। তাই যদি চুল পাকা বন্ধ করতে চান তাহলে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অবসাদ বা দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি মূলত মন, শরীর দুই’ই ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। অধিক পরিমাণে চিন্তা করার ফলে ফেসে তার প্রভাব পড়ে। সেইসঙ্গে শরীরেও এর প্রভাব দেখা দেয়। ফলে ঠিকমতো খাবার খাওয়া হয় না। এতে করে অতিরিক্ত চিন্তার ফলে অকালেই চুল পড়ে যায়, চুল রুক্ষ হয়ে যায়, এমনকি চুল পেকেও যায়। তাই চিন্তা করা যাবে। কখনো যদি মন খারাপ থাকে বা অবসাদ লাগে তাহলে নিজের ভালো লাগার যেমন, বই পড়া, মুভি দেখা, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি করতে পারেন। এতে করে শরীর ও মন সতেজ থাকবে। ফলে মানসিক চাপও কমে যাবে। এতে চুল পাকাও রোধ করতে পারবেন।
সকল প্রকার ভিটামিন খেতে হবে। ক্ষুধা লাগলে হাতের কাছে যা থাকবে, তাই খাওয়া বন্ধ করতে হবে৷ বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমাতে হবে। ঘরের খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে। এতে করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হবে। যেমন রঙিন শাক-সবজি, ফল-ফলান্তি, মাংস, ডিম ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে। তাহলে অকালে চুল পাকা রোধ হবে।
নিজেকেই নিজের খেয়াল রাখতে হবে। সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে নিজেকেই। সঠিক খাদ্যাভ্যাস দেবে চুল পাকা থেকে রক্ষা।
অনন্যা/এসএএস