Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ

আজ ৮ ই মে, বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। প্রতিবছর এই দিনে পুরো বিশ্বব্যাপী পালিত হয় থ্যালাসেমিয়া দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বৈষম্য মোকাবেলা'। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বানীতে বলেন,থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রক্তশূন্যতা জনিত রোগ। এ রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৯০ শতাংশ জন্ম নেয় নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে বেশির ভাগ শিশুই পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া রোগী ও পরিবার উভয়ই সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়।

চলুন তবে আগে জেনে নেই থ্যালাসেমিয়া রোগটি আসলে কি? থ্যালাসেমিয়া হচ্ছে  এক ধরনের রক্তশূন্যতা, যা বংশগতভাবে বিস্তার লাভ করে। এতে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরির হার কমে যায়। তবে কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে তা নির্ভর করে এর ধরনের উপর। আর থ্যালাসেমিয়ার এই ধরনটি কেমন হবে তা নির্ভর করে একটি বা দুটি জিনই খারাপ কি না তার ওপর।

শরীরের যেকোনো বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য দুটি জিন দায়ী। যার একটি আসে বাবার থেকে, আরেকটি মায়ের থেকে। যদি হিমোগ্লোবিন তৈরির একটি জিন ভালো এবং একটি খারাপ হয় অর্থাৎ একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক এবং অপরজন থ্যালাসেমিয়া বাহক না হন  তাহলে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-৫০ শতাংশ কম তৈরি হয়। এ ধরনের রোগীকে থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলে। তাদের থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট বা ক্যারিয়ারও বলে।

আর যাদের দুটি জিনই খারাপ অর্থাৎ যাদের মা ও বাবা উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক, তাদের মধ্যে রোগের লক্ষণগুলো শিশুকালেই প্রকাশ পায় এবং শিশুটির মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এদের থ্যালাসেমিয়া মেজর বা বিশেষ ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমেডিয়া বলে। এরা শিশুকাল থেকেই নানা সমস্যায় ভোগে।

এদের মধ্যে রোগের লক্ষণ খুব কম মাত্রায় প্রকাশ পায়। মাইনর থ্যালাসেমিয়ার বেলায় কমবেশি রক্তশূন্যতা থাকে। অনেক সময় হালকা জন্ডিসও থাকতে পারে। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া মেজর বা ইন্টারমেডিয়ার বেলায় রক্তশূন্যতা, জন্ডিস ও প্লীহা বড় থাকে। এ রোগের ফলে অধিক পরিমাণে আয়রন জমা হয়ে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিসের মতো জটিলতা দেখা দেয়। 

 
থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। তাই এই রোগের থেকে বাঁচতে চিকিৎসা নয় সবার আগে ভাবতে হবে রোগটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে৷ আর এসংক্রান্ত সবচেয়ে বড় উপায় হল, থ্যালাসেমিয়া যেহেতু একটি বংশগত রোগ ।  বিয়ের আগে উভয়ের  রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেয়া তার বানীতে এ বিষয়ে বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের কোন বিকল্প নেই। বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের জন্য রক্তপরীক্ষা করে রোগটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। তাই এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা ও তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের উপরও জোর দেন তিনি।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ