Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনিকাল ফল্ট!

আমার নাম মারুফ। কিছু গল্প শেয়ার করতে চাচ্ছি। আমার হাইস্কুলের গল্প। হাইস্কুলে সবারই এক-আধটা গ্রুপ থাকে, স্বাভাবিক। তো ছিল আমারও,না চাওয়ার পরও ৪ টা অতুলনীয় গাধার গ্রুপের ৫ম সদস্য হয়ে যাই আমি। থাকে না কিছু, হাইস্কুলে উঠে নিজেকে উরা ধুরা স্মার্ট ভাবা আবুল। যারা পার্কে সমবয়সী মেয়েদের এটেনশন পেতে "সাপ সাপ" চিল্লিয়ে ওঠে, পরে উচ্চশিক্ষিত বানরের মত বলে,"ইট ওয়াজ আ প্র‍্যাঙ্ক"। আমি বলতাম, "ভাই আমার আত্মা দেখ ওইযে দুই আসমান উপরে চইলা গেছে ভয়ে আর তোরা নাকি প্র‍্যাঙ্ক করছিস!" আর আপনাদেরও বুঝতে হবে, মেয়ে দেখলে আমরা এরকমই তো করবো কারণ আমরা ছিলাম বয়েজ স্কুলের নাগরিক(দুঃখের সাথে বলতে হয়)। তো ওরকমই ছিল আমাদের গ্রুপটা, স্কুলে আমাদের গ্রুপের নাম ছিল 'টেকনিকাল ফল্ট'। 

এর পেছনে আছে ইতিহাস। আমরা পাঁচজন ছিলাম স্টিভ, সৈয়দ, জুল্ফিকার, অভিজিৎ আর আমি। স্টিভ ছিল খ্রিষ্টান, কিছু ছেলে থাকে যারা জন্মই নেয় ১৮+ হয়ে, যাদের শৈশব কাটে আশিক বানায়া আর মুন্নু বাদনাম হুয়ি দেখে, সেরকম একটা পিস ছিল স্টীভ। তাই ওকে আমরা ডাকতাম প্রবৃত্তিপুজারী বলে। ওর আরেকটা নাম ছিল পটল। অবভিয়াসলি সবসময় সব জায়গায় প্রবৃত্তিপুজারী বলে ডাকা সম্ভব না। আর ওকে পটল বলার কারণ ওর শরীর অনেকটা পটলের মতো ছিল। মানে উপরে চিকন নিচে চিকন কিন্তু মাঝখানে!  মাঝখানে মামা বিশাল আকৃতির পেট-কোমর। এটা আমরা প্রথমেই আবিষ্কার করতে পারি নি, একদিন আমরা স্কুল পালাচ্ছিলাম, আমাদের বিল্ডিং এর পেছনে দেয়াল ছিল না, ছিল অনেকটা রডের বেড়া। এই রডগুলোর ফাঁক দিয়ে আমি, সৈয়দ, অভিজিৎ, জুল্ফিকার বের হয়ে পড়েছি কিন্তু এর পর আসে পটলের পালা। প্রথমে মাথা ঢুকিয়ে দিল, বের হচ্ছে বের হচ্ছে, হঠাৎ আটকে গেল। ওর পেট পার করে আর আনা যায় না। আবার পা আগে ঢুকিয়ে দিয়ে চেষ্টা চালানো হল কোমর পর্যন্ত আসে তারপর স্টাক, কি মুশকিল! আমি তো ভাবলাম কেউ দেখে মানুষ পাচারকারী ভেবে না বসে,যেভাবে টানাটানি করতেছিলাম! এর মধ্যে পিওন বিড়ি খেতে এসে আমাদের কাছে ধরা খেয়ে যায়, পরে বুঝতে পারি আমরাই উলটো ধরা খেয়ে গেছি। তারপর আসে সৈয়দ, সৈয়দ আর আমার মধ্যে অনেক মিল ছিল। আমরা দুজনেই ছিলাম স্পোর্টসম্যান। আর কিছু ছেলে থাকে না ক্লাসে, যারা মাল্টি ট্যালেন্টেড, যাকে সবাই ব্রয়লার বলে ডাকে। সৈয়দ ছিল ওই কোয়ালিটির। গান, ড্রয়িং, কবিতা আরো বহুত গুন! কিন্তু এটা ছিল বয়েজ স্কুল, এখানে এসব প্রতিভার কোনই ভাউ ছিল না। মেয়েই নাই গান গেয়ে ইমপ্রেস করবে কাকে! ওর ফুপিতো ভাই জুল্ফিকার। না আমি ফুপাতো বলবো না। সম্পর্ক যখন ফুপির সাথে তাহলে ডাকার বেলায় ফুপা কেন আসবে? কোথাও তো শুনি নি যে খালুতো, মামীতো, চাচীতো, তাহলে এখানে ফুপিতো কেন হবে না! যাই হোক পয়েন্ট ছিল জুল্ফিকার, আসলে ওর নাম ছিল শাওন। শাওনের দাদার নাম ছিল জুল্ফিকার। 

ছেলেদের এক আজব ব্যাপার হল আমরা বন্ধুদের হয় তাদের বাবার নামে ডাকি নাহলে বংশীয় নামে, যেমন অভিজিৎ হল আমাদের ফ্রেন্ড চয়নের বাবার নাম, আমাদের কাছে ও অভিজিৎ নামে পরিচিত, কিন্তু শাওনের ব্যাপারটা অন্যরকম। ওর দাদার নাম আমরা জানতে পারি যখন জুল্ফিকার নামে প্রসেনজিৎ এর একটি সিনেমা রিলিজ হয়। একদিন সিনেমাটা নিয়ে আমাদের মধ্যে হাসাহাসি হচ্ছিল, কেন হাসাহাসি হচ্ছিল জানি না। যেকোনো র‍্যান্ডম বিষয় নিয়ে আমরা হাসাহাসি করতাম, সেটা হাস্যকর না হলেও। এটাও ছেলেদের ক্রোনোলজী! তো হঠাৎ শাওন বলে ওঠে আমার দাদার নাম জুল্ফিকার। ব্যাস! ভাই বিশ্বাস করেন ১১ মিনিট ধরে আমরা সবাই হাসছিলাম কথাটা শোনার পর, কারণ পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতার নাম ছিল জুল্ফিজার আলী ভুট্টো। ওকে ভুট্টোর নাতি বলতে বেশ লাগছিল। তখন থেকে ওর নাম হয়ে যায় জুল্ফিকার এবং ক্লাসের সব স্যাররাও ওকে জুল্ফিয়ার নামেই চিনতো। একবার ওর বাবা আমাদের ক্লাস এইটের ক্লাস টিচার রফিকুল স্যার কে এসে বললো শাওন আহমেদের ফাদার সে। ততদিনে, ভাই আমাদের জুল্ফিকার নামে ফেমাস। স্যারও জানে না শাওন আবার কে! ওইদিন ওর বাবা জানতে পারে তার ছেলে স্কুলে তার বাবার নামে পরিচিত আর মজার বিষয় তার ছেলে বিষয়টা নিয়ে অভ্যস্ত! আমার আর সৈয়দের বাবা মারা যাওয়ায় আমাদের বাবার নাম নিয়ে কেউ মজা করতো না, যাক ওদের এতটুক বুদ্ধি যে সৃষ্টিকর্তা দিয়েছিলেন এটাই অনেক। 

আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেকনিকালি ফল্টেড ছিল অভিজিৎ মানে চয়ন। এই বান্দা ছিলেন তোতলা আর তার সাথে ওর ব্রেইন ছিল স্লো। থ্রি ইডিয়টস এর পরীক্ষার খাতা এলোমেলো করে পালিয়ে যাওয়ার সিনটা মনে আছে না? সেখানে ফারহান যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিল অভিজিৎ থাকলেও ঠিক একই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতো। আর ও তোতলা হওয়ায় ও ওর নাম বলতো তয়ন। কিন্তু আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ছাত্রও ছিল অভিতিৎ, থুক্কু অভিজিৎ। যেমন একবার আমরা প্রাইভেট টিউশনের ক্লাস মেরে পার্কে হাটতে হাটতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎই এক কাপল দেখলাম আমরা, সৈয়দের প্রথম রিয়েকশন মুখে শয়তানি হাসি। বললো, "সময় মতো দৌড় দিস" বলে চলে গেল কাপলের কাছে, আমরা দাঁড়িয়ে আছি একদম রেডি হয়ে। সৈয়দ গেল, গিয়ে বললো-"ভাইয়া, এই আপুকে এর আগেও আমি একটা ছেলের সাথে এখানেই দেখছি, ভাইয়াটার মুখ থেকে খুশি একদম ভূতের মতো হারিয়ে গেল। মেয়েটা সৈয়দকে ডাক দিল, "ভাইয়া একটু শোন।" সৈয়দ আবার ভাইয়াটাকে বললো,"বিশ্বাস করলে করো বা না করো।" বলেই সে কি দৌড়। আমরা সবকয়টা ওর দেখা দেখি দৌড় কিন্তু আমাদের অভিজিৎ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আবার উলটো দৌড় দিয়ে ওকে নিয়ে আবার দৌড় ততক্ষণে বড় ভাই আমাদের ধরতে একটু ছুট দিয়েছিলেন। ওই এলাকার বড় ভাই হবে হয়তো ধরলে শেষ ছিল! ক্লাসে কিছু ছেলে থাকে না যাদের কাজকাম থাকে বেঞ্চের উপরে দাড় করিয়ে রাখার মতো। হয় না কিছু ছেলে যাদের স্যার ক্লাসের বাইরে দাড় করিয়ে রাখলেই বেশি শান্তি পায়। যেকোনো ঝামেলায় সে জড়িত থাকুক বা না থাকুক স্যারদের নজর তার উপরেই থাকে?  এক কথায় ক্রিমিনাল বলে যাকে আরকি! হ্যাঁ, ওটাই আমি। আমি যখন স্কুলে ঢুকি তখন খুব ভদ্র ছিলাম বিশ্বাস করেন। কিন্তু এটা ছিল বয়েজ স্কুল। ক্রিমিনাল তৈরি করার কারখানা। ব্যাস বাকিটা ইতিহাসই করে দিল। একবার আমাদের মনে হল লাইফে এডভেঞ্চার কম হয়ে গেছে কোন উত্তেজনা নাই।

তো আমরা সবাই মিলে স্কুলের ওয়াশরুমে গেলাম। আমি পানির কলটা দেখলাম আর বললাম, এডভেঞ্চার তো পেয়ে গেছি। তারপর জাস্ট এক লাত্থি। জানি না কি দরকার ছিল, কোন শয়তান ভিড় করছিল। আমি নিজেও জানতে চাই ভাই কি দরকার ছিল। টাইম মেশিন টা নিয়ে গিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়, "ওরে বলদ কেন?কেন রে ভাই কেন? পরের ৩ মাস যে পানির বোতল নিয়ে এসে কাজ সারতে হবে সেটা মাথায় ছিল না কেন?"কোন কারণ নাই হুদাই কলটা ভেঙ্গে ফেললাম। তারপর অনেক কাহিনী হয়েছিল। স্যাররা বুঝতে পেরেছিল যে কাজটা আমি করেছি, কিন্তু কেউ আমার নাম বলার সাহস পায় না। আমি তো অবাক এত বড় ক্রিমিনাল হয়ে গেছি নাকি। সবাই ভয় পায়, কল্পনা করতে লাগলাম বড় ক্লাসের ভাইয়ারা আমাকে কাঁধে নিয়ে হইহুল্লোর করছে "সালাম রকি ভাই"। কোন মানে হয় এসবের? তখন তো খুব মনে হচ্ছিল!

তো যাই হোক, বয়েজ প্রিজনের আসামী হয়ে দিন ভালোই কাটছিল। একদিন সৈয়দ বললো আমাদের ফিটনেসের দিকে একটু খেয়াল করতে হবে তো আমরা বিকালে টিউশন মার দিয়ে ক্রিকেট খেলতে যাব। আমরা সবাই এক পায়ে রাজি, কারণ আমাদের ক্রিকেট পছন্দ? না বস না! কারণ হল আমরা টিউশন বাঙ্ক মারবো। যাই হোক পরের দিন সবাই সময়মত মুন্নার মাঠে হাজির। কিন্তু কারো কাছে বল নাই। বুঝেছেন আমাদের খেলার প্রতি আগ্রহ? বল ব্যাট ঠিক না করেই মাঠে। তো যাই হোক চাঁদা তুলে বল কিনে খেলা শুরু করলাম। একতো এই স্টিভ পাগলা এত হারামি, পাশের বাসার ৩ তলার ছাদে দুইটা মেয়ে দাঁড়ায় আছে। ব্যাস, হয়ে গেল। ওইযে বললাম বয়েজ স্কুল। জুল্ফিকার সবার আগে ব্যাটিং এ। দুটো ভাই দুটো ক্যাচ স্টিভ পটলে ছেড়ে দিয়েছে ছাদের মেয়ে দেখতে দেখতে। আমি তো ওকে মারতে তেড়ে যাচ্ছিলাম সৈয়দ আমাকে থামিয়ে দেয় বলে," খেলায় ঠাণ্ডা থাক।" ভাই আমি তখন ভাবলাম যখন জাতীয় টিমে ক্যাচ মিস হয় তখন "ব্যাপার না, পরের বার" ইত্যাদি কিভাবে বলে? ওকে তো খাবারে বিষ দিয়ে শুলে চড়িয়ে রেখে গুলি করে মারার কথা। আমার আবার মেজাজ একটু খিটখিটে।  যাই হোক এরপর পটল গেল ব্যাটিঙ্গে, বল ওই মেয়েদের ছাদে পাঠানোর ব্যর্থ চেষ্টায় বল গেল মুন্না আঙ্কেলের জানালায়। 

ব্যাস! আমরা সবগুলো পলকের মধ্যে উধাও। মাঠে শুধু অভিজিৎ আর স্টাম্প ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। ৩০/৪০ সেকেন্ড পরে অভিজিতের ব্রেইন তাকে সিগনাল দিয়েছে, "এখন হয়তো দৌড় দেওয়া উচিৎ" তারপর স্টাম্পগুলো তুলে সেকি দৌড়, কিন্ত গেস হোয়াট? ব্যাটটা ফেলে চলে এসেছি সবাই। অভিজিৎকে বললাম, "ব্যাট কই?" "আমি তানি না তো, তোলা আতছত ব্যাত নিয়া আতবি না?" ফিরে গিয়ে দেখি, আঙ্কেল মুন্না ব্যাট ভেঙে ৩ টুকরা করে রাখছে৷ আমাদের টিউশন মিস দেওয়া থুক্কু ফিটনেস প্লানিং গেল গোল্লায়। 

 

ব্যাট ছিল জুল্ফিকারের। আমরা সবাই গেলাম জুল্ফিকারের বাসায় কারণ নতুন ব্যাটের জন্য টাকা লাগবে। আর জুল্ফিকার বাসায় টাকা আনতে গেছে। আমরা বাহিরের রুমে বসে আছি। আর এই সৈয়দ, মেয়েরা তেলাপোকাকে যতটা না ভয় পায় সে তার ফুপাকে তার থেকেও বেশি ভয় পায়। ভেতর থেকে আওয়াজ "নতুন ব্যাট কি করেছিস কিসের আবার টাকা?" "ঠাস।" চড়ের আওয়াজটা আসার সাথে সাথে সৈয়দ দৌড়। তারপর কি আর আমরা বসে থাকি,, কিন্তু। অভিজিৎ ঠিকই বসে আছে। বুঝতে পারলাম সৈয়দ কেন ফুপাকে এত ভয় পায়! যাই হোক, সবাই এবার ব্যাট কেনার জন্য চাঁদা তুললাম, দোকানে গেলাম আর আমি সবাই কে সাবধান করলাম, "এক্সপ্রেশন কন্ট্রোলে রাখিস, ব্যাট পছন্দ হইছে বুঝলেই ওরা দাম বেশি চায় আর ওদের কথায় বোঝাবি যে আমাদের কাছে টাকা কম।" তো এই পটল দোকানে কান্না স্টার্ট করছে তার অভাব অনটনের গল্প শোনাতে শোনাতে। আমি সৈয়দকে বললাম,"ভাই এটা কি? এই নমুনার পয়দাকারীকে আমি একবার বলতে চাই এর থেকেও বড় রকমের আবুল জন্ম দিতেন" ভাই দোকানে পাগলায় সিন ক্রিয়েট করে ফেললো, যাই হোক। ওই দোকান থেকে বের হয়ে অন্য খেলা ঘর থেকে একটা ব্যাট কিনলাম, ব্যাট টা দেখতেও যেমন ওজনও দারুণ সবাই খুব প্রশংসা করছিলাম ঠিক তখন অভিজিৎ বলে,"ভাই বেতি পতন্দ হয়েতে দেখে হয়তো এল কোতো বাতে দিক নতলে পলতে না।" পাগলার কথায় পয়েন্ট তো ছিল কিন্তু ততক্ষণে তো আমাদের ব্যাটের জন্য স্যাটিসফ্যাকশন আকাশ ছুয়ে ফেলছে, আমরা ওকে ধমক দিয়ে ব্যাট কিনে মাঠে যেতে থাকি। 

 

আমি জিজ্ঞেস করলাম," ভাই ব্যাটের নাম কি দিবি?" তো জুল্ফিকার বললো "থিটা কেমন হয়!"  আমরা বললাম "জোস" মাঠে গিয়ে একটু খেলার পর দেখি ব্যাটের নিচে ফাটল, শুরুতে অল্প ছিল তাই নজরে পড়ে নাই, খেলতে খেলতে বেড়ে গেছে। একদম মাঝ বরাবর। তো আমাদের সবার চোখ গেল পটলের দিকে৷ ওই এত প্রশংসা করছিল ব্যাট টার। হঠাৎ অভিজিৎ বললো, "ভাই থিতার মাঝখানেও তো ফাতা থাকে।" তারপর থিটা নাম দেওয়ার জন্য জুল্ফিকারকে সে কি মার মারলাম। হুলুস্থুল অবস্থা থেকে শুধু আমাদের কোন একজনের গলার আওয়াজ ভেসে আসলো "নাম দেওয়ার আগে মাথা ছিল না, থিটাও ফাটা ব্যাটও ফাটা।"

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ