‘হিজাব পরিধান’ ধর্ম নাকি আত্মরক্ষা?
একজন নারী ধার্মিক কি না তা কি কখনও তার পোশাক বলে দিতে পারে? সমাজে অনেক নারী আছেন যারা ধর্ম সচেতন কিন্তু তারা হিজাব পরে না। আবার এমন অনেকে আছেন যারা হিজাব পরে কিন্তু তারা ধর্ম সচেতন না। পোশাক কি তাহলে কারও পরিচয় বহন করতে পারে?
নারীরা পোশাক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমাজে সেই পোশাক কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে চিন্তা করে। অনেক সময় পরিবারের চাপে পরে পর্দা করে। আবার এমন অনেকেই আছে যারা নিজ ইচ্ছেতেই পর্দা করে। বর্তমানে ছোট বড় সব বয়সের মেয়ে বা নারীদের হিজাব পরতে দেখা যায়। হিজাব কি শুধু ধর্মকেই নির্দেশ করে?
এমন অনেকে আছে যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের নয় কিন্তু হিজাব পরে। আবার অনেকে আছে যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের কিন্তু হিজাব পরে না। অর্থাৎ হিজাব শুধুমাত্র ধর্মকে নির্দেশ করে না। হিজাব নারীর একটি ভূষণমাত্র। অনেকের ধারণামতে হিজাব পরিধানে নারীর আত্মরক্ষা হয়। কিন্তু পর্দা করা নারীকেও ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়েছিল। তাহলে হিজাব কি করে নারীর আত্মরক্ষা করলো?
শিশুরা ৪ বা ৫ বছর বয়সেই তাদের মা তাকে হিজাব পরায়। এতে একটা সময় তারা মনে করে এটা শুধু তার পোশাক মাত্র। কারণ তারা ছোট থেকেই হিজাব পরে তাই বড় হয়েও তাদের হিজাব পরতেই হবে। আবার অনেকে আছে যারা ছোট থেকে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পোশাক পরতো এবং একটা সময় তাদের হিজাব পরতে ইচ্ছে হয়েছে তারা তখন হিজাব পরা শুরু করে।
হিজাব নারীর একটি পোশাক। হিজাব কখনও নারীর পরিচয় বহন করে না। প্রতিটি নারীর নিজ নিজ পোশাক নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। তাই হিজাব পরলে ধার্মিক না পরলে অধার্মিক এমন মতবাদ সঠিক নয়। আবার হিজাব নারীর আত্মরক্ষা করবে এটিও ভিত্তিহীন।