সঙ্গী বাছাইয়ের আগে রাশি জানুন
বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারলে আপনি যেকোনো মানুষের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন। তবে যে একবার আপনার বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে সে যেকোনো দিন বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না এমনটা ভাবা কিন্তু অন্যায়। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় বিশ্বাস রাখা যায় না, এদিকে পরবর্তীতে দেখা গেল তিনিই হয়তো সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য।
এবার আসা যাক প্রেমের প্রসঙ্গে। প্রেমে ভালোবাসা আর ধোঁকা দুই আছে। আজ হয়তো আপনারা খুব ভালো বন্ধু, একবছর বাদে যে সঙ্গী আপনাকে ধোঁকা দেবে না এরকম ভাবার কোনো কারণ নেই।
এসব কারণে যারা রাশিতে বিশ্বাস করেন তারা রাশি মিলিয়ে সম্পর্কে জড়াতে পারেন। তাতে নাকি সম্পর্ক ভালো হয়। যদিও এর পক্ষে শক্ত কোনো যুক্তি নেই। চলুন দেখে নেয়া যাক কোন রাশির জাতকরা প্রেমিক/প্রেমিকা হিসেবে কেমন।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল) :
মেষ জাতক-জাতিকার সঙ্গে আরেক মেষ জাতক-জাতিকার ভালোবাসার স¤পর্ক গড়ে ওঠে না। ভালোবাসার জন্য এদের সিংহ ও ধনু জাতককে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মেষ ও সিংহের সমন্বয়ে রসায়ন হয় শুভ। শেষ পর্যন্ত তা গড়াতে পারে বিবাহবন্ধনে। এগিয়ে যাওয়া যায় মধুর সম্পর্কে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) :
এ জাতক-জাতিকার জন্য ভালোবাসার মানুষ পাওয়া যাবে কন্যা রাশির জাতক-জাতিকা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই বৃষ নারীর ভালোবাসা সুপ্রসন্ন হতে পারে নিজের রাশির কাউকে বিয়ে করার পর। বৃষ ও কন্যার সমন্বয়ে যে ভালোবাসা প্রস্ফুটিত হয় সেটি অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারে।
মিথুন (২২ মে-২১ জুন) :
এ জাতক/জাতিকার সঙ্গে তুলা ও সিংহ রাশির কারও সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ জাতিকা। আবার অনেক সময় এ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে কর্কট জাতকের। মিথুন ও সিংহের সমন্বয়ে ভালোবাসার ঘর দৃঢ়।
কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই) :
এ জাতকের ভালো বন্ধু হতে পারে কন্যা রাশির জাতক। জীবনসঙ্গী হিসেবে কন্যা রাশিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। কন্যা রাশির জাতিকা আপনার জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কন্যা রাশির জাতিকা পাওয়ার জন্য অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরুতে হবে। তাছাড়া কুম্ভ রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক হতে পারে।
সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট) :
মেষ রাশির যে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়া যেতে পারে। সিংহ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মিথুন ও ধনু রাশিতে। বিশেষ করে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকাদের এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কন্যা রাশির সঙ্গে দাম্পত্য শুরু করলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকতে হবে অনিশ্চিত। তাই স¤পর্ক গড়তে এড়িয়ে চলুন কন্যা রাশি।
কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর) :
এ জাতকের আদর্শ বন্ধু ও জীবনসঙ্গী হতে পারে কর্কট জাতক থেকে। এছাড়া মকরের সঙ্গেও সুস¤পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে বড় শত্রু হবে সিংহ জাতক বা জাতিকা থেকে। কর্কট জাতকের সঙ্গে ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে সিংহ জাতক/জাতিকা।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর) :
এ জাতকের জন্য ভালো বন্ধু হতে পারে মিথুন জাতিকার কেউ। এছাড়া নিজ রাশির সঙ্গেও ভালো বনিবনা হতে পারে। তবে বৃশ্চিকের সঙ্গে ভালোবাসর স¤পর্ক গড়া ঠিক হবে না। কারণ তুলা ও বৃশ্চিকের ভালোবাসার ঘর হবে ক্ষণস্থায়ী।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর) :
এ জাতকের সঙ্গে ধনু, মকর ও মীন জাতকের সম্পর্ক হতে পারে। নিজ রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে স¤পর্ক হলে তা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। বিয়ের ক্ষেত্রে কর্কট জাতক জাতিকাকে এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ কর্কট ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে দাম্পত্য স্থায়ী হয় না।
ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর) :
এ জাতক বা জাতিকার সঙ্গে মেষ ও মকরের ভালো স¤পর্ক গড়ে উঠতে পারে। ধনু জাতক বা জাতিকাকে এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি বৃশ্চিক, মকর ও মীন রাশির কাউকে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ রাশির জাতকের সঙ্গে।
মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি) :
এ জাতকের সঙ্গে নিজ জাতকের বন্ধুত্ব স্থায়ী হয় না। কন্যা, ধনু ও মীন জাতকের মধ্যে থেকে বন্ধু খুঁজে নেওয়া ভালো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুলা রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক করা যেতে পারে। কারণ তুলা ও মকরের সমন্বয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বৃহ¯পতি থাকে তুঙ্গে। কুম্ভ রাশির সঙ্গেও স¤পর্ক গড়া যেতে পারে।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি) :
এ জাতকের জন্য সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মকর রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। কুম্ভ ও মকরের সমন্বয়ে দাম্পত্য এগিয়ে যায় অনেকদূর। পাড়ি দিতে পারে অনেক বাধা-বিপত্তি। এদের বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। মিথুন জাতক/জাতিকার জন্য জীবন হতে পারে বিষাদময়।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ) :
এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে বৃশ্চিক রাশির। মীন ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে শনির দশা কেটে যেতে পারে। এগিয়ে যাওয়া যায় সমৃদ্ধির সঙ্গে। পাশাপাশি মকরের সঙ্গে সম্পর্ক করা যেতে পারে। তবে কুম্ভ রাশির সঙ্গে প্রেম ও ভালোবাসর সম্পর্ক গড়া ঠিক হবে না।