Skip to content

রাজশাহী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলো কখন, কোথায় বসে?

রাজশাহী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলো কখন, কোথায় বসে?

রাজশাহীর বাঘার মানুষের কাছে পবিত্র ঈদুল ফিতরে আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করে ঈদমেলা। ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে এ মেলা হয়ে ওঠে সব মানুষের মিলনমেলা। প্রায় ৫০০ বছর ধরে ঈদের দিন শুরু হয় এই মেলা। চলে সপ্তাহভর, কখনোবা মাসব্যাপী।

বাঘায় ইসলাম প্রচারক হজরত শাহ মোয়াজ্জেম দানিশমন্দ শাহ দৌলা (রহ.)–এর মাজার আছে। মাজার ওয়াক্ফ এস্টেটের উদ্যোগে মেলাটি চলে। পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও তবারক বিতরণের আয়োজন করে থাকে। এতে প্রচুর লোক অংশ নেন।

মেলায় সার্কাস, নাগরদোলা, মৃত্যুকূপ খেলা, জাদু প্রদর্শনীসহ নানা বিনোদনমূলক আয়োজন থাকে। আর আসবাবসহ মেলায় হরেক রকম পসরা ও মিষ্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে।

রাজশাহীর, বাঘার মানুষের কাছে পবিত্র ঈদুল ফিতরে আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করে ঈদমেলা। ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে এ মেলা হয়ে ওঠে সব মানুষের মিলনমেলা। প্রায় ৫০০ বছর ধরে ঈদের দিন শুরু হয় এই মেলা। চলে সপ্তাহভর, কখনোবা মাসব্যাপী।

বাঘায় ইসলাম প্রচারক হজরত শাহ মোয়াজ্জেম দানিশমন্দ শাহ দৌলা (রহ.)–এর মাজার আছে। মাজার ওয়াক্ফ এস্টেটের উদ্যোগে মেলাটি চলে। পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও তবারক বিতরণের আয়োজন করে থাকে। এতে প্রচুর লোক অংশ নেন।

মেলায় সার্কাস, নাগরদোলা, মৃত্যুকূপ খেলা, জাদু প্রদর্শনীসহ নানা বিনোদনমূলক আয়োজন থাকে। আর আসবাবসহ মেলায় হরেক রকম পসরা ও মিষ্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে।

সরস্বতীপূজা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিবছর বসে দইমেলা। সিরাজগঞ্জ ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দই ও মিষ্টির পসরা নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারা ছুটে আসেন। মেলে ক্ষীরশা দই, রাজাপুরের দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, শ্রীপুরী দইসহ নানা ধরনের দই। স্থানীয় লোকজনের হিসাবমতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে এটি চলছে।

বগুড়ার শিবগঞ্জের উথলী গ্রামে অগ্রহায়ণ মাসে বসে এই নবান্ন মেলা। দিনব্যাপী চলা এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হরেক পদের মাছ। কাকডাকা ভোরে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। সারি সারি দোকানে মাছের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। দোকানে দোকানে সাজানো থাকে দিঘি, পুকুর, খাল-বিল আর নদ-নদী থেকে আনা বড় রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, বোয়াল, বিগ হেডসহ নানা মাছ। ঝুরি, জিলাপি, কদমা থেকে শুরু করে হরেক রকম মিঠাই-মিষ্টান্নের দোকানও থাকে।

উথলী ছাড়াও ছোট নারায়ণপুর, বড় নারায়ণপুর, রথবাড়ি, ধোন্দাকোলা, সাদুল্লাপুর, বেড়াবালা, গরীবপুর, দেবীপুর, গুজিয়া, মেদনীপাড়া, বাকশন, রহবলসহ আশপাশের অন্তত ৩০ গ্রামে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। আত্মীয়স্বজনকে নিমন্ত্রণ জানান তাঁরা।

বগুড়ার গাবতলীর এই মেলা অনেকের কাছে মাছের মেলা হিসেবেও পরিচিত। কারণ, এই মেলারও প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছ।

কথিত আছে, মেলাস্থলে একটি বিশাল বটগাছ ছিল। সেখানে এক সন্ন্যাসী আশ্রম তৈরি করেন। একপর্যায়ে স্থানটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পুণ্যস্থান হয়ে ওঠে। প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার সেখানে সন্ন্যাসী পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজাকে কেন্দ্র করেই মেলার গোড়াপত্তন। বলা হয়ে থাকে, পোড়াদহ মেলা ২০০ বছরের পুরোনো।

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আছে ৫০০ বছরের ঠাকুর মান্দা মন্দির। প্রতিবছর চৈত্রের শুক্ল নবমী তিথিতে রাম নবমী পূজায় (এপ্রিল) এই মন্দিরে বসে মেলা। এ মেলা উপলক্ষে ঠাকুর মান্দায় হাজারো ভক্তের ঢল নামে। কীর্তন, প্রসাদ বিতরণ, ভক্তদের পূজা–অর্চনা, ভোগ নিবেদন ও মানত দেওয়ার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে চারপাশ।