অপরাজিতা ফুলের চায়ে রয়েছে জাদুকরী গুণ
আপনারা হয়তো অনেককেই নীল রঙের চা পান করতে দেখেছেন। এই নীল রঙের পানীয়টি আসলে অপরাজিতা ফুলের চা। এটি ব্লু টি নামেও পরিচিত। এটি একটি প্রাকৃতিক ভেষজ পানীয় যা অপরাজিতা ফুল (Clitoria ternatea) থেকে তৈরি হয়। স্বাস্থ্যকর গুণাবলীর জন্য এই চা বিশেষভাবে জনপ্রিয়। অপরাজিতা ফুলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ কমায়। অপরাজিতা ফুলের চা ঠান্ডা বা গরম উভয়ভাবেই উপভোগ করা যায়।
চা বানানোর সময় এতে লেবুর রস যোগ করলে এর রঙ নীল থেকে বেগুনি হয়ে যায় যা এটিকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। অপরাজিতা চায়ের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১. হজমে সাহায্য করে
অপরাজিতা ফুলের চায়ে মল নিঃসরক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্র গঠনে সাহায্য করে।
২.রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
অপরাজিতা ফুলের চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৩.শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করে
অপরাজিতা ফুলের চায়ে অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোনথোসায়ানিডিনস এবং কোয়ার্সেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের র্যাডিক্যালগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং কোষগুলিকে মানসিক চাপ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৪.শরীরে জ্বালা ভাব দূর করে
নিয়মিত অপরাজিতা বা প্রজাপতি-মটর ফুলের চা পান করলে শরীরের জ্বালা ভাব দূর হয়। এই চা শরীরের অতিরিক্ত উত্তেজনা কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৫.ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
অপরাজিতা ফুলের চা ক্ষুধা দমন ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৬. অ্যাজমা প্রতিরোধ
এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চা বানানোর নিয়ম
প্যানে ৪ কাপ পানি নিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে দুটো এলাচ, দুই টুকরো আদা, এক টুকরো দারুচিনি ও পাঁচটি অপরাজিতা ফুল দিয়ে দিন পানিতে। ফুলের নিচের সবুজ অংশ ফেলে তারপর দেবেন। ৫ থেকে ৬ মিনিট ফুটান।
এরপর চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কাপে ঢেলে মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন। লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন খাওয়ার আগে। লেবুর রস মেশালে এই চা রঙ বদলে বেগুনি হয়ে যাবে।