Skip to content

২১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিডি’র সহায়তায় জীবন যুদ্ধে জয় করেছেন বাঘবিধবা হালিমা খাতুন

এভারেষ্ট জয়ের মতো একটি কঠিন কাজ হচ্ছে নারী হয়ে জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে সফলতা পাওয়া। এমনই এক সংগ্রামী সফল নারী হলেন হালিমা খাতুন।

হালিমা খাতুনের বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে। ২০০৭ সালে হালিমা খাতুনের স্বামী আলমগীর হোসেন গাজী সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হন।
স্বামীর মৃত্যুর পর ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন ও অভাব অনাটনের কারণে কাজের সন্ধানে তিনি চলে যান খুলনা শহরে।
সেখানে ঝালের মিলে কাজ করতে গিয়ে মেশিনে কাপড় জড়িয়ে মর্মান্তিকভাবে আঘাত পান। ১ মাস হাসপাতালে থাকার পর মিলের কাজ হারিয়ে তখন রেল লাইনে শাক সবজি বিক্রি করতেন। কিন্ত অভাব লেগেই থাকতো বলে মেয়েকে নিয়ে শহর থেকে গ্রামে চলে আসেন । কয়রা উপজেলায় ছোট একটা ঘর ভাড়া করে বাসা বাড়ি ও হোটেলে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান কয়েকদিন । হার্টের সমস্যার কারণে ভারী কাজ না করতে পারায় সেই কাজও হারাতে হয় তাকে। এই কঠিন সময়ে তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে আসে আইসিডি। আইসিডি হলো একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট। সুন্দরবন তীরবর্তী উপকূলীয় জনপদের বাঘবিধবাদের পুনর্বাসনে কাজ করে এই সংগঠনটি। এবং তাদের এই এই প্রকল্পে সহায়তা করছে ‘লিটিল কাইন্ডনেস মেক্স এ বিগ ইমপ্যাক্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আইসিডির সহায়তায় বাঘবিধবা হালিমা খাতুন কয়রা বাজারে একটি চায়ের দোকান দেন। এবং এতেই কমে যা
আসে তার আর্থিক সংকট, বৃদ্ধি পায় সামাজিক সম্মানও।

বাঘবিধবা হালিমা খাতুন বলেন, ” প্রতিদিন চায়ের দোকান থেকে ভালো আয় হচ্ছে এখন। ঠিকমতো দু মুঠো ডাল ভাত খেতে পারি, এবং আয়ের ক্ষুদ্র অংশ সঞ্চয় করি। এলাকার মানুষ এখন সম্মান করে। আমার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প এখন মানুষের মুখে শুনতে ভালো লাগে। বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনোরকম দুমুঠো ভাত খেতাম। হার্টের সমস্যা কারণে ভারি কাজ করতে পারি না বলে ঝিয়ের কাজ হারাই। চরম দুশ্চিন্তায় আর হতাশার মাঝে আইসিডি আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। “

আইসিডি’র কো-ফাউন্ডার মোঃ আশিকুজ্জামান বলেন,
“হালিমা খাতুনের মতো আরো অনেক বাঘবিধবাকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছি। যারা এই উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা করছেন তাদেরকে অনেক কৃতজ্ঞতা।”

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ