সবার আগে ক্যারিয়ার, এরপর পৃথিবীর অন্য সব
সবার আগে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন।এই জিনিসে কোন কম্প্রোমাইজ করবেন না।
নারী যদি তার ক্যারিয়ার গড়তেই না পারে তাহলে সারাজীবন অন্যের অধীনস্থ হয়ে জীবন যাপন করতে হবে। কে কখন কি এনে দিলো, কে কখন তার স্ত্রী বা মেয়ে বা মায়ের জন্য করলো সেটার জন্য বসে থাকতে হবে।
এরপর স্বামী যখন মারা যাবে তখন আরো দুর্দশা নিয়ে আসবে জীবনে। শেষ বয়সে সন্তানেরাও মা কে বোঝা মনে করবে৷ তখন তাকে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হবে। নিজেকে শেষ বয়সের বোঝা বানানো যাবে না।
নারীর জীবন অন্যের উপর কতখানি নির্ভরশীল এই বিষয়ে একটি চলচ্চিত্র রয়েছে। সুতপার ঠিকানা।।এই চলচ্চিত্রের মূল কথা ছিলো নারীর কোনো ঠিকানা নেই। নারী সব সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভ্রমন করতেই থাকে।
কিন্তু সুতপার মত নিজের ঠিকানা নিশ্চিত না করে একজন নারীর বিচরণ করাটা যে খুবই দুঃখজনক সেটা বুঝতে পারাটা আবশ্যক।
এজন্যই নারীদের ক্যারিয়ার সচেতন হতে হবে। নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে হবে। আত্নমর্যাদা এবং আত্নরক্ষা এই দুটি জিনিষ না থাকলে আশেপাশের কোনো মানুষও নারীর প্রতি মর্যাদাসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখবে না।
যেহেতু অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই বড় স্বাধীনতা। তাই আগে নিজের ক্যারিয়ার এবং আত্নবিশ্বাস গোছানো এরপর বাকি সব।
কারণ ক্যারিয়ার গোছানো থাকলে নিজের মতামতের প্রাধান্য থাকবে নারীর৷ নিজের পরিবারেও নারীর মতামত প্রাধান্য পাবে। যেখানে সবাই বলতো নারীকে মাথা নিচু করে শুধু আদেশ পালন করতে হবে। সেখানে নারীদেরকে মাথা উচু করে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতি উৎসাহিত করা হবে। ঠিক এমনই একটি পরিবেশ আমরা নারীর জন্য চেয়েছিলাম। তাই নয় কি?
অনন্যা/এমটি