Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেমন্ত আসে সন্ন্যাসী ধ্যানে

নিঃসঙ্গ সাধনায় শান্ত সৌম্ম হেমন্ত দুপুর
সবুজের আয়ু ছিঁড়ে বাজে ঝরাপাতার নূপুর।
সন্ন্যাসী ধ্যানে সাধে, উত্তরের বায়ুর বিষণ্নতা
পথে পথে হলুদ পাতার ঘরছাড়া আকুলতা।

আহা-রে হেমন্ত
কৃষাণীর নোলকের মতো নুঁয়েছে ধানের শিষে
ভরা ফসলের মাঠ এনেছে কার্তিকের শেষে।
অরণ্যের মাদকতা ফেলে নিয়ে গেছে অভিমান
ছাতিমের উদ্দাম গন্ধ ভুলে রেখে গেছে অবদান।
ফসল কাটা হলে সারা উৎসবে মাতে গাঁও পাড়া
নির্জন মাঠে, শিশিরে ভিজে, পড়ে আছে নাড়া।
শালিকের ঠোঁট খোঁজে ঝরাধান,উদাস করে প্রাণ
বিরান মাঠে বাতাসে ভাসে এখনো ফসলের ঘ্রাণ।

আহা! এমনি হেমন্ত আসে
একলা ঘরেফেরা আলতো শীতের সন্ধ্যা রাতে
কখনও হেঁটে যাওয়া শিশির ভেজা ধূলিপথে,
নবান্নের উৎসবে,নগ্ন বুকের উপর হিম মধ্যরাতে
অঘ্রাণের সোহাগ নামে কুয়াশার শুভ্র শাড়িতে।
মাকড়সার জাল,ঘাসের শিশির চুমা দেয় রোদে
শীর্ণাজলে দাড়কিনা মাছ ডাকে আমার কৈশরে
জলসিঞ্চনে একা দাঁড় কাক দাঁড়িয়ে বিলের বাঁকে
সন্ধ্যার ডাকে বিকেলটা ধীরে, হয়ে আসে ফিকে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ