রক্তাক্ত কফিনে ফিলিস্তিন
বসতি ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে এক নারী
বুকের পাঁজরে লালিত স্বপ্নের নির্জলা পরিহাস
নাকে বারুদের তীব্র গন্ধ, কাকে যেন খুঁজছে
ফিলিস্তিন, রক্তপাতের নিদারুণ এক ইতিহাস।
পড়ে আছে রঙিন বল,পাশে ক্ষত বিক্ষত শিশু
কালের অবক্ষয় দেখছেন, খোদা ঈশ্বর যিশু।
বোমার স্পিলিন্টারে এফোঁড় ওফোঁড়
নিথর নিষ্পাপ শিশু পড়ে আছে, চৌচির মাথা
কূটনীতির আগুনে পুড়ে ছাই বৈশ্বিক মানবতা।
জেরুজালেম পুড়ছে, পুড়ছে দাউদাউ ক্ষুধা
দু’দিন আগেও শুধু, দু’টি রুটি ছিল সম্বল
ছিল মাথার উপরে ছাদ —একটি আবাসস্থল।
এখন বাস্তচ্যূত শরণার্থী, ভরসা একমাত্র প্রভু
বিবর্ণ প্রান্তরে খোলা আকাশ,আর উদ্বাস্ত তাঁবু।
সকালের রোদ এখন শিশুদের সাথে খেলে না
শিশুরা আর ঘাস ফড়িংয়ের পিছু ছুটে না
ধরে না,উড়ে যাওয়া প্রজাপতির রঙিন ডানা।
বাতাসে ভাসে এখন বিষাক্ত ঝাঁঝালো ধোঁয়া,
অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ, আহত শিশুর কান্না।
দূর থেকে দেখে পরিত্যক্ত ভেঙেপড়া বাড়ি
খোঁজে বাদামি চোখ থিতু স্মৃতির বেসাতি,
অর্ধমৃত বোধের মিনারে নীরব আহাজারি।
ফিলিস্তিনিরাও কাঁদতে জানে, আছ মৃত্যু ভয়,
এ কোন মহামারি রোগ নয়,
বেওয়ারিশ মাতালের মানবতাহীন নগ্ন অধ্যায়।
দ্রোহের আগুনে পোড়া পাথরে লেগে আছে
আত্মবিশ্বাসী অবিনাশী সংগ্রামী প্রত্যয়,
নষ্ট ইতিহাসে গড়া মানচিত্রের হবেই বিজয়।
ওহে ইহুদীরা শুনো, শুনে রাখো তুমি
আহত শিশুর রক্তের ছাপে লাল পাথর স্বাক্ষী
এই ফিলিস্তিন করবে জয় স্বাধীন জন্মভূমি…