ও মেয়ে

তুমি চিৎকার করতে পারো না
বোবা যন্ত্রণার পাখনাগুলোকে শুধরে নিয়েছো!
নিপুন অন্ধকার,
জানালার ফাঁক দিয়ে তুমি কাকে দেখছো?
ওই দূর দিগন্তকে
সে খাপছাড়া একটা ধোঁয়াশা!
তোমার অপমান সইতে সইতে,
সে হয়তো,হাজার চুরাশির মাঠে,
একটা নীরবতার কবর খুঁড়ছে।
ও মেয়ে,তুমি কি এখনো কাঁদো?
আজ তুমি তো অন্যের,
তবু কেন চোখের অশ্রু ঝরিয়ে যাচ্ছো?
ও মেয়ে,সেই দশটা বছরের স্মৃতি কেন আঁকড়ে ধরে রয়েছো?
তুমি একটু শান্তি খোঁজো!
আজ কেন তাকে এতো দামি ভাবছো?
একদিন তো দুরদুর করে তাড়িয়ে দিয়েছো,
কেন জানালার পাশে দাঁড়িয়ে নীরবতাকে ডাকছো?
তুমি স্বপ্নবুনো
পাতাঝরা আর জোড়া লাগবেনা প্রিয়!
স্বপ্নের মঞ্জিলে কেন এতো কাঁদো?
ও মেয়ে,তুমি স্বপ্নবুনো!
হায়রে, বোবা শব্দ,
নিজেকে পাথর করে দিও!
স্বপ্নের নীল আকাশে ধরতে যেও,
বাস্তবতার সমাজতত্ত্বে, চারদেওয়ালে বন্দী রাখো।
ও মেয়ে,তুমি কেন এতো কাঁদো?
ভাতের হাঁড়ির ফ্যানগুলো উথলে উঠছে প্রিয়,
নিজেকে নিজের মতো সাজিয়ে তোলো।
কেন অশান্তির আড়ালে ডুকরে ডুকরে কাঁদো।
তোমার নীরবতা হাজার চুরাশির মাঠে কবর খুঁড়ছে প্রিয়,
ও মেয়ে,ওই দেখো,
তোমার আমিত্বের মাথার উপরে
মৃত্যুর ডাকে এসে গেছে, হাজার হাজার শকুনির ঝাঁকের চিৎকার শুনতে পেয়েছো?
বিদায় দিয়ে দিও
ও মেয়ে, তুমি ও পাথর হয়ে গেছো!
নীরবতার অশ্রুগুলো জানালার ফাঁক দিয়ে কাঁদছে প্রিয়!