পৃথিবীর সবচেয়ে প্রবীণ নারী!
জাপানের নাগরিক কানে তানাকা। জীবনের ১১৮ টি বসন্ত পেরিয়ে পা রেখেছেন ১১৯ বছরে। তাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রবীণতম নারী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর করা এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এই নারীর কথা।
গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি ছিলো কানে তানাকা নামের প্রবীণ ঐ নারীর ১১৯ তম জন্মদিন। ঐদিন কানে তানাকার নাতির মেয়ে জুনকো তানাকা এক টুইটার পোস্টে তার প্রমাতামহীর ১১৯ বছরে পা রাখার সংবাদ জানান। টুইটারে কানে তানাকার ২ টি ছবির সাথে তিনি লিখেন, 'বিশাল প্রাপ্তি। (কানে তানাকা) ১১৯ বছরে পৌঁছেছেন। আশা করি, তিনি আনন্দের সঙ্গে জীবন কাটাবেন।'
আর সেই হিসেবে কানে তানাকা পৃথিবীর প্রবীণতম জীবিত নারী। শুধু মুখের কথা নয় পৃথিবীর প্রবীণতম নারী হিসেবে তার স্বীকৃতিও আছে বৈকি। ২০১৯ সালে কানে তানাকাকে বিশ্বের প্রবীণতম জীবিত নারী হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নথিভুক্ত করা হয়।
১৯০৩ সালে জন্ম কানে তানাকার। তার বিয়ে হয় ১৯ বছর বয়সে৷ তার স্বামী ছিলেন চালের দোকানদার। বয়সের কাছে কখনোই হার মানেননি তিনি। কানে তানাকা ১০৩ বছর বয়স পর্যন্ত সেই দোকানে কাজ করেছিলেন। ১১৯ বছরের এই জীবনে তিনি কম কিছু দেখেননি। তার চোখের সামনে ঘটে গেছে ২টি বিশ্বযুদ্ধ। আবার ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি থেকে বর্তমান করোনা মহামারির স্বাক্ষীও হলেন তিনি।
এবছর কোকা-কোলা কোম্পানি কানে তানাকার জন্য উপহার হিসেবে 'জন্মদিনের বোতল' পাঠিয়েছে। বোতলের গায়ে কানে তানাকার নাম ও বয়স উল্লেখ করা আছে। কানে তানাকার নাতির মেয়ে জুনকো তানাকা ঐদিন টুইটে এবিষয়ে বলেন, 'এমন উপহার দেখে মনে হতে পারে কানে তানাকা এখনো কোকা-কোলা পান করেন।'
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রবীণ এই নারী জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের উত্তরাঞ্চলীয় ফুকুয়োকা শহরের একটি নার্সিং হোমে রয়েছেন। তার পরিবারের লোকেদের ভাষ্যমতে, তিনি মোটেই অতীত নিয়ে বিচলিত নন। বর্তমান সময়কে বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছেন তিনি।