শীতে স্বপ্নকাহন
হিমেল হাওয়ায় ভেসে যায় যে ঘনকুয়াশা
শিশির ছাড়ায় মুক্তার দ্যুতি দূর্বাঘাসে
আড়মোড়া ভেঙে সূর্য তাকায় রক্তাভ চোখে
সব স্বপ্নচূড় অদৃশ্যে লুকায় দহনত্রাসে।
ঘুমন্ত শরীরও উষ্ণতায় ওম খোঁজে শীতে
কুমুদিনী চাঁদকে যাচে নিশীথের জোছনায়
হিমে হামাগুড়ি দিয়ে খেলে সুখেরা মিছে
দুঃস্বপ্নগুলো শিশিরের মতো রোদ্রে শুকায়।
যখন রাত্রির কোলে সপ্তর্ষি ঘুমায় অন্ধকারে
স্মৃতিগুলো শোকে নীরবে শীতের মতো ঝরে
বয়োবৃদ্ধ বৃক্ষের চোখের পাতায় ঘুম নেই দুঃখে
নিস্তব্ধতা ভেঙে টুপটাপ পাতা পড়ে মর্মরে।
আবার একদিন ফিরে যাবে উত্তরের হাওয়া
নবকিশোলয় শিখে নিবে দখিনের কাছে গান,
কোকিল সাধবে সুরে ভালোবাসার আহ্বান
কাননে কাননে পুষ্পে পুষ্পে জাগবে শত প্রাণ।