চিংড়ি মাছের মহাকাশ ভ্রমণ
মহাকাশে বসবাস করতে মানুষের মাঝে আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের বিকাশে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই তো মহাকাশে আইসক্রিম, পাতিলেবু, চিংড়ি ও পিঁপড়ে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৭০ কিলোগ্রাম ওজনেরও বেশি খাদ্য ও পিঁপড়ে মহাকাশে গেল।
নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আইসক্রিম, পাতিলেবু, চিংড়ি ও পিঁপড়েসহ বহু জিনিসপত্র নিয়ে মহাকাশে রওনা হয়েছিল ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা ‘স্পেস-এক্স’ এর ‘ফ্যালকন’ রকেট। ভূপৃষ্ঠের ৩৭০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এসব জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া ছিল এর কাজ।
‘স্পেস-এক্স’ এর ‘ফ্যালকন’ রকেট রওনা হওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। স্পেস-এক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ড্রাগন’ নামে ‘ফ্যালকন’ রকেট রওনা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিত্য পণ্য ও পিঁপড়া নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে। এক দশকে নাসার পাঠানো জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে এ পর্যন্ত ২৩ বার মহাকাশ স্টেশনে গেল স্পেস-এক্স এর শক্তিশালী রকেট।
মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা মহাকাশচারীদের জন্য আইসক্রিম, ফল আর নানা ধরনের খাবার পাঠানো হয়েছে। এবার নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ছাড়াও মানুষ আকৃতি ‘রবোটিক আর্ম’ বা রোবট বাহু পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় এটি কতটা কার্যকর হয়, তা বুঝতেই জাপানের একটি সংস্থার বানানো বিশাল রোবট বাহুটিকে মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রায় সাড়ে ৪ দশক পর ২০২৪ সালে ‘আর্টেমিস’ অভিযানে মহাকাশচারীদের ফের চাঁদে নামাতে চলেছে নাসা। সেই অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ে এই রোবট বাহুর ব্যাপক ব্যবহার হবে। চাঁদে সভ্যতার একটি স্থায়ী বেস বা আস্তানা গড়ে তুলতে ও খনিজ সম্পদের সন্ধান ও সংগ্রহে এই রোবট বাহুটিকে ব্যবহার করা হবে বলে জানায় নাসা।
মহাকাশ স্টেশনে ভরশূন্য অবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, পিঁপড়ে আর লবণাক্ত জলের চিংড়ি মাছ পাঠানো হয়েছে।
বিভিন্ন উদ্ভিদ কিংবা জীব পাঠিয়ে যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে তা এমন পরিবেশে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারে। বিজ্ঞানকে নিয়ে ভবিষ্যতে পরিকল্পনা বরাবরেই রয়েছে। তবে বিষয়টি তাদের গবেষণায় কতটা সাফল্য বয়ে আনবে সেটি এই দেখার বিষয়।