রোম সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশি দুই নারী
বর্তমান সময়ে নারীরা পিছিয়ে নেই কোন ক্ষেত্রেই। ঘর সামলানো থেকে দেশ চালানো সব কাজেই অবদান রাখছে নারীরা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়েছে । শুধু দেশের মধ্যেই নয় দেশের বাইরেও প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।
ইতালির রাজধানী রোম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে অক্টোবরের শুরুতে। এই নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয়ান নাগরিক লায়লা শাহ এবং সাংবাদিক জুমানা মাহমুদ । প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে দুজনই প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। রাজধানী রোমে নারীনেত্রী লায়লা শাহ এবং সাংবাদিক জুমানা মাহমুদ মূল ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ায় এখানে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ভীষণ আনন্দিত।
লায়লা শাহ রাজধানী রোমে ৫ ও ১২ নম্বর মিউনিসিপিওতে প্রার্থী হয়েছেন এবং সময় টিভির ইতালি প্রতিনিধি জুমানা মাহমুদ ৭ নম্বর মিউনিসিপিও ও কমুনের কাউন্সিল পদে প্রার্থী হয়েছেন। ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই দুই নারী প্রার্থীকে নিয়ে আশাবাদী। প্রবাসীদের মধ্যে আলোচনায় শীর্ষে থাকা এই নারীদের বিজয়ের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করছেন প্রবাসীরা। শুধু বাংলাদেশি নয়, ইতালিয় এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রবাসীরাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ইতালিস্থ বাংলাদেশ মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি লায়লা শাহ্ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যেতে চাই। মূল ধারার রাজনীতিতে থেকে এটা সম্ভব। ইতালির তরভেরগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রী জুমানা মাহমুদ জানান, এখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমস্যার কথা তিনি সরকারের কাছে তুলে ধরতে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের নারীদের মূল ধারার রাজনীতিতে এগিয়ে আসা উচিত এবং আমরা ইতালির রাজনীতিতে একটি স্থান করে নিতে চাই।
শুধুমাত্র ৫ ও ১২ নম্বর মিউনিসিপিওর বাসিন্দারাই লায়লা শাহ কে ভোট দিতে পারবেন। তবে ৭ নম্বর মিউনিসিপিওর বাসিন্দা ছাড়াও জুমানা মাহমুদকে যেকোনো মিউনিসিপিও থেকে কমুনের কাউন্সিলর পদে ব্লু রংয়ের ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। এবারের সিটি নির্বাচনে সর্বাধিক ২২ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কমুনের ৪৮টি কাউন্সিলর পদের জন্য প্রায় ১৮শ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।