ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন
চুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। সুন্দর ঘন কালো চুল আমাদের কার না ভালো লাগে? তাই নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে। কিন্তু কাজের ব্যস্ততার জন্য চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া হয় না। আমরা অতি সহজেই ঘরে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে আমরা চুলের যত্ন নিতে পারি।
আদিম কাল থেকেই মেহেদী পাতা চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে। আর যদি মেহেদী পাতার সাথে টকদই মিশিয়ে নেন তাহলে তো কথাই নেই।
প্রথমে মেহেদি পাতা বেটে তাতে ২-৩ চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি আলতোভাবে চুলে লাগান। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। এভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং সাথে সাথে চুল হয়ে উঠবে রেশমি।
চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলকে কোমল রাখতে নারিকেল তেল অনেক উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে নারিকেল তেল গরম করে মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। চুলেও লাগান গরম তেল। পরদিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন নারিকেল তেল। নারিকেল তেলে থাকা পটাসিয়াম, আয়রন ও বিভিন্ন উপকারী মিনারেল চুল ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এমনকি খুশকিও দূর করে।
পেঁয়াজের রস চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি চুল পড়া কমাতে পেঁয়াজের জুড়ি নেই।
চুলের জন্য ডিম অনেক ভালো কাজ করে। তবে যাদের চুল রুক্ষ তাদের ডিমের সাদা অংশ বাদে শুধু কুসুমের সাথে তেল মিশিয়ে নেবেন। আর পাতলা চুলের জন্য শুধু ডিমের সাদা অংশ নিবেন। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে চুলে ভালোভাবে মেখে ১০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি চুলের জন্য খুবই কার্যকরী।
চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। চা খাওয়ার পর চা-পাতা ফেলে দেবেন না। সেটি আরেকবার ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে রেখে দিন। গোসলের শেষে চায়ের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চুল আঁচড়াতে হবে। নাহলে চুলের জট থেকেই যাবে। আর এই জট বাঁধা চুল আঁচড়ালেই চুল কাটতে শুরু করে। বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে চুল আঁচড়ানোর সময় টান পড়লে চুল কাটতে থাকে।
নিয়মিত চুল ধুয়ে নিতে হবে। যাদের নর্মাল চুল তারা একদিন পর পর চুল ধুয়ে নিতে পারে। যাদের তৈলাক্ত চুল তাদের প্রতিদিন চুল ধুয়ে নিতে হবে।
ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না। ভেজা চুল নরম থাকে তাই নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছতে হবে। অকারণে হেয়ারড্রাইয়ার ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে বারবার হিট দেওয়া, চুলে কালার করা, চুলের স্টাইল বা ফ্যাশনে অধিক কেমিক্যাল না ব্যবহার করাই ভালো।