‘ইথিওপিয়ায় ধর্ষণের শিকার কয়েকশো নারী’
গত বছরের নভেম্বর থেকে ইথিওপিয়ায় চলছে আরো একটি গৃহযুদ্ধ। এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়াও, যার কিছুটা হাওয়া লেগেছে সুদানেও। এ নিয়ে প্রতিনিয়তই যখন আলোচনা সমালোচনা চলছে পুরো বিশ্বজুড়ে। তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এ আলোচনা সমালোচনা আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইথিওপিয়ার টিগ্রে অঞ্চলে চলমান যুদ্ধে কয়েকশো নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বুধবার তারা এবিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ চলাকালে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার সৈন্যরা কয়েকশো নারীকে ধর্ষণ করেছে৷
প্রতিবেদন অনুযায়ী টিগ্রের হাসপাতালগুলোতে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যেই ১২৮৮ জন যৌন নির্যাতনের শিকার নারী চিকিৎসা নিতে এসেছেন৷ হাসপাতালের এই জরিপ ছাড়াও যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ৬৩ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। যেখানে কয়েক সপ্তাহ বন্দী রেখে ধর্ষণের ঘটনাও অনেকে তুলে ধরেছে।
নারীদের উপর অন্যায়ভাবে যৌননির্যাতনের এ ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির মহাসচিব আগনেস ক্যালামার্ড এ বিষয়ে বলেন, "যৌন অপরাধের এই ভয়াবহতা ও মাত্রা বেদনাদায়ক, এটি যুদ্ধাপরাধ ও সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে৷"
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধের ক্ষত বহন করা ইথিওপিয়া আবারও গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পরে। ইথিওপিয়ার ১০টি আধা-স্বায়ত্তশাসিত ফেডারেল রাজ্যের একটি টিগ্রে। এ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নেয়া টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) এর বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক বাহিনীর অভিযান চালানোর পরই শুরু হয় যুদ্ধ। গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে টিগ্রে অঞ্চল ছেড়ে সেখানকার বাসিন্দারা অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সুদান-ইথিওপিয়া সীমান্তে৷