সুস্বাদু শাপলা লতার ভর্তা
বর্ষাকালে পুকুর, নদী, খাল কিংবা ডোবা সব জায়গায় শাপলা ফুল ফুটতে দেখা যায়। পানির মধ্যে সাদা কিংবা হালকা গোলাপি শাপলা বা লাল পদ্ম দেখতে সকলেই পছন্দ করেন। আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। ফুল হিসেবে পরিচিত হলেও শাপলার লতা তরকারি কিংবা ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। গ্রামাঞ্চলে বর্ষাকালে শাপলা ফুলের লতি রান্না করে খাওয়ার চিত্র দেখা যায়। আজ আমরা শাপলা লতার ভর্তা তৈরির প্রক্রিয়া জেনে নিব।
উপকরণ
শাপলা লতা কেটে বেছে নেওয়া ৩০০ গ্রাম,
খোসা ছাড়ানো মাঝারি চিংড়ি ২টি,
কোরানো নারকেল সিকি কাপ,
রসুন ৬ কোয়া,
দেশি পেঁয়াজ ৩টি চার টুকরা করা,
শুকনা মরিচ ৬টি,
লবণ ১ চা-চামচ,
চিনি ১ চা-চামচ,
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ,
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি
শাপলা লতা ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে হাত দিয়ে চিপে বাড়তি পানি নিংড়ে নিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। ফ্রাইংপ্যানে এক টেবিল চামচ সরিষার তেল গরম করে শুকনা মরিচ টেলে উঠিয়ে রাখুন।
এবার তাতে চিংড়ি মাছ, কোরানো নারকেল ও আধা চা-চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে ভাজা ভাজা করে উঠিয়ে রাখুন। এবার বাকি এক টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন ভেজে নিন। কিছুক্ষণ ভাজার পর শাপলা লতা ও বাকি লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ভাজা ভাজা করুন।
বাড়তি পানি টেনে গেলে চিংড়ি মাছ ও নারকেল কোরা দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। তারপর শুকনা মরিচ, চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজা ভাজা করে নামান। পাটায় মসৃণ করে বেটে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
পরামর্শ
শাপলা লতা কুটে বেছে নিতে নিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটা লালচে কালো আবরণ পড়ে যায়। ফুটানো পানিতে দিয়ে ভাপিয়ে নিলে সেটা আবার টাটকা সবুজ রং ধারণ করবে। যেহেতু এটা পানিতে জন্মায়, তাই এর সেই নিজস্ব একটা মেটে গন্ধ আছে, ভাপিয়ে পানিটা নিংড়ে নিলে সেই গন্ধটাও দূর হয়ে যায়।