ঈদে ওজন বৃদ্ধি ঠেকাতে যা করবেন
দীর্ঘ এক মাস পর আজ উদযাপন হবে ঈদ উল ফিতর। ঈদ মানেই খাওয়া-দাওয়া। ঈদ আসলেই পড়ে যায় খাওয়া দাওয়ার ধুম। একে তো বাসায় বিভিন্ন লোভনীয় খাবার রান্না হয়, আবার অন্যদিকে আত্মীয় স্বজনদের বাসায়ও থাকে ঈদের দাওয়াত। কেবল ঈদের দিন নয় এই খাওয়া-দাওয়া চলতে থাকে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে।
ঈদের এই কয়দিন মোটামুটি খাওয়ার ওপরই চলে যায়। এক মাস রোজা রাখার পরে এসব রিচ খাবার ও খাবার রুটিনে পরিবর্তন আসার কারণে দ্রুত ওজন বেড়ে যেতে পারে। রোজার মাস জুড়েই কম খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়েছেন অনেকেই। তাই ঈদে বেশি খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার পাশাপাশি ওজন যাতে না বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের পরে যেন ওজন না বাড়ে সেজন্য এই টিপসগুলো মেনে চলতে হবে।
খাবারে ভারসাম্যতা আনুন: ঈদে প্রচুর পরিমাণে মাংস, বিরিয়ানি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার হয়ে থাকে। তাই খাবারে প্রচুর সালাদ অন্তর্ভুক্ত করুন। মিষ্টান্ন খাবারও খাওয়া হয়ে থাকে। খুব বেশি মিষ্টি খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যেতে পারে। ঈদের দিন ভারী খাবার খেলে এর পরের দিনগুলোতে স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তাহলে ওজন বাড়বে না।
সকালে পানি পান করা: সারা বিশ্বের ডায়েটিশিয়ান, নিউট্রিশনিস্ট এবং ফিটনেস এক্সপার্টরা এ বিষয়ে একমত যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাটা সুস্থতার জন্য যেমন জরুরি, ওজন কমাতেও তেমনি জরুরি। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর এবং মেটাবলিজম বাড়াতে কাজে আসে। এছাড়া সকালে দুয়েক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলেও ওজন এবং পেটের মেদ কমে।
খাবার ভালোমতো চিবিয়ে খাওয়া: ভালো করে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে হবে। অনেকের ধারণা খাবার পেটে গেলে তা হজম হয়! আসলে খাবার মুখে নেওয়ার পর চিবিয়ে খাওয়ার সময় থেকেই তা হজম হওয়া শুরু হয়। মুখের লালাতে এমন এক এনজাইম আছে, যা খাবার গ্রহণ করার আগেই হজম শুরু করে। এজন্য হজম বাড়াতে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে।
ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া: ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সম্পন্ন করুন। এ সময়ের মধ্যে খাবার হজম হয়ে যায়। খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ঘুমালে পেট হালকা হয় এবং ঘুমও ভালো হয়। ঘুমানোর আগে আধা ঘণ্টা হাঁটতেও পারেন।
ফল ও পানি খাওয়া: বেশি ফল এবং পানি খেতে হবে। ফল এবং শাক-সবজিতে থাকা ফাইবার আপনার শরীরকে আর্দ্র রাখবে। সেই সঙ্গে ফল ও শাকসবজিতে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করবে।