Skip to content

ভয়াল জলোচ্ছ্বাসের দায় চন্দ্রের!

ভয়াল জলোচ্ছ্বাসের দায় চন্দ্রের!

আগামী এক দশকের মধ্যে চাঁদের জন্যই হতে পারে পৃথিবীতে বিপর্যয়। কক্ষপথে তার টলোমলো পায়ে হাঁটার জন্যই ঘটবে এমন বিপদ যখন তা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত অবস্থায় থাকবে। যার ফলে আগামী একদশকেই দেখা দেবে সেই ভয়াল বন্যা। বিশ্বের সমুদ্রোপকূলবর্তী বহু দেশের বহু শহর ও গ্রামাঞ্চলকে হয়তো পানিতে মধ্যেই রাখবে এই বন্যা।

 

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি চাঁদের প্রভাবে ২০৩০ সালে পৃথিবীতে ‘রেকর্ড ফ্লাডিং’ অর্থাৎ ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। রেকর্ড ফ্লাডিং যার মাত্রা এখনো বিশ্বের কোথাও দেখা যায়নি। প্রবল এই বন্যার ধংসের বিরূপ প্রভাব দেখা দিবে বিশ্বে।

 

নাসার বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদ কিছুটা তার  অবস্থান পরিবর্তন করবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে। চাঁদের মধ্যকার এই স্থান পরিবর্তনে  বিপর্যয় ঘটে যাবে পৃথিবীতে।

 

নাসার গবেষণাপত্রটি 'ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ' জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে। মহাকাশ সংস্থাটি জানিয়েছে,চাঁদের একটি ‘ওয়াবল’ চক্র রয়েছে যা সারে ১৮ বছরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।এই সাড়ে ১৮ বছরের অর্ধেক সময় অর্থাৎ ৯ বছর চাঁদের জন্য পৃথিবীর সব সমুদ্র, মহাসাগরে জোয়ারের পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি।এবং চক্রের বাকি অর্ধেক সময় উল্টোটা হয় অর্থাৎ ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি থাকে।

 

বিজ্ঞানীরা মনে করেন বর্তমানে চাঁদ তার কক্ষপথে যে অবস্থায় রয়েছে তাতে পৃথিবীর সব সমুদ্র, মহাসাগরে ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য একটু বেশি জোয়ারের চেয়ে। কিন্তু একদশকেই এর বিপরীত পর্যায় দেখা যাবে। যার ফলশ্রুতিতে বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মত দুর্যোগের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। 

 

নাসার মতে,বর্তমানে শুধু উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা যায় ‘নুইস্যান্স ফ্লাড’ নামের এক ধরনের বন্যা। যার পানির স্তর ২ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়।এই নুইস্যান্স ফ্লাড বা বন্যা ২০৩০ সালে ঘনঘন হবে। যা অতীতের রেকর্ড টপকে যাবে। তবে এমন পরিস্থিতির ফলে ভেসে যেতে পারে আমেরিকা সহ বিশ্বের সমুদ্র সংলগ্ন বহু এলাকা।

 

চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দিনকে দিন বেড়েই চলছে। একদিকে পৃথিবীতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি অন্যদিকে চন্দ্রের ওয়েভার চক্র। একত্রিত হয়ে ধেয়ে আসছে পৃথিবী ধ্বংসকারী কোন আলামত। যার ফলে আগামী একদশকেই সৃষ্টি হতে পারে দরুন বিপর্যয় পরিস্থিতি। হয়তো সময় থাকতে এর ভয়াবহ ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে। তাই বিশ্বের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।