বিভিন্ন দেশে যেভাবে পালিত হয় বাবা দিবস
আজ জুন মাসের তৃতীয় রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস। এ মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের প্রায় ৭৪টি দেশে বাবা দিবস পালিত হয়।
বাবা-মা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ হলো বাবা-মা। সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় বাবাকে। আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা। বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিমাপ করতেও পারে না। সেই বাবার প্রতি সম্মান জানাতে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।
তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে থাকে। এছাড়াও কিছু দেশ ভিন্ন তারিখে বাবা দিবস পালন করে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কীভাবে বাবা দিবস পালন করে।
থাইল্যান্ড: থাইল্যান্ডে বাবা দিবস পালন করা হয় সদ্য প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের জন্মদিনে (৫ ডিসেম্বর) বাবা দিবস পালন করা হয়, যাকে দেশটির জনক বলে মনে করা হয়। এদিন হলুদ রঙের কাপড় পরা সেখানকার প্রথা।
জার্মানি: জার্মানিতে এই দিনে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর বদলে বাবারা বরং একেকটি গ্রুপ হয়ে হাইকিং করতে যান। কখনো কখনো মদ বা খাবার টেনে তোলার মতো খেলা করেন।
নেপাল: নেপালে সন্তানরা এই দিনে তাদের পিতামাতাকে মিষ্টি কিনে দেন। কখনো কখনো সন্তানরা তাদের বাবার কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন। যাদের বাবা মারা গেছেন, তারা সেই সমাধিস্থানে গিয়ে বাবাকে স্মরণ করেন।
ফ্রান্স: ফ্রান্সে বাবা দিবসটি ঐতিহ্যগতভাবে একটি ক্যাথলিক উৎসব। তবে উনিশ শতকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এটির পুনঃ-প্রচলন ঘটানো হয়। এখন এই দিনে সবরকম উপহার দেয়া হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে গোলাপ ফুলও। ফ্রান্সের প্রথা হলো এটা যে, বাবা জীবিত থাকলে তাকে লাল গোলাপ দেওয়া হবে। কিন্তু বাবা যদি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে তার সমাধিতে সাদা গোলাপ রেখে আসা।
মেক্সিকো: মেক্সিকোয় বাবা দিবস বা ডিয়া ডেল পেড্রো উদযাপিত হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। এদিন মেক্সিকো সিটিতে তের মাইল লম্বা একটি দৌড় প্রতিযোগিতা হয়, যাকে বলা হয় ক্যানেরা ডিয়া ডেল পেড্রো। বাবাদের সঙ্গে সঙ্গে ওই দৌড়ে অংশ নেন সন্তানরাও।
বাংলাদেশের যশোরে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। যেকোনো দেশে যেকোনো সময়েই হোক না কেন বিশ্বের সকল বাবাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাবা দিবস পালন করা হয়।