মাশরুমের নানা উপকারিতা
নানা খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ মাশরুম একটি সুস্বাদু খাবার। মাশরুমের পুষ্টিমান অত্যাধিক৷ এতে থাকা প্রোটিন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রোটিনের পূর্বশর্ত হল মানব দেহের অত্যাবশ্যকীয় ৯টি অ্যাসিডের উপস্থিতি। আর মাশরুমে অতীব প্রয়োজনীয় এ ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিড বিদ্যমান।
মাশরুমে পলিফেনল ও সেলেনিয়াম নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সালফারও থাকে।মাশরুমের প্রোটিনে-ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অতি অল্প এবং কোলেস্টেরল ভাঙার উপাদান-লোভস্ট্রাটিন, অ্যান্টাডেনিন, ইরিটাডেনিন ও নায়াসিন থাকায় শরীরের কোলেস্টেরলস জমতে পারে না বরং মাশরুম খেলে শরীরে বহু দিনের জমানো কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায়।
দাঁত ও হাড়ের গঠনে মাশরুম
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন -ডি রয়েছে। যা বাচ্চাদের দাঁত ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরল কমাতে
মাশরুমে রয়েছে ইরিটাডেনিন,লোভস্ট্রাটিন, অ্যান্টাডেনিন। যা কোলেস্টেরল কমাতে গুরুদায়িত্ব পালন করে। নিয়মিত মাশরুম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ায়
শরীরে এন্টিবডি তৈরি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রকম অসুখ।মাশরুম পলিফেনল ও সেলেনিয়াম এর উৎস যাতে থাকে অনেক এন্টিঅক্সিডেন্ট।
যেগুলোর ভেষজ গুন জীবনঘাতী কিছু রোগ যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুরোগ ও ক্যান্সার এর থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।এতে থাকা সালফার ও ইমিউনিটি বুস্ট করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
টিউমারের আশঙ্কা কমায়
বর্তমান সময়ে মেয়েদের প্রায়ই স্তন টিউমার বা জরায়ুর টিউমার ধরা পড়ছে। গাইনকোলজিস্ট রাও এটি নিয়ে চিন্তিত। অপারেশন এর ঝক্কি এড়াতে তাই খাওয়া শুরু করুন মাশরুম। কারণ এর বেটা ডি, ল্যাম্পেট্রোল, টারপিনওয়েড ও বেনজোপাইরিন উপাদান ক্যান্সার ও টিউমার এর সম্ভাবনা প্রতিহত করে দেয়।
প্রসূতি ও সন্তানদের প্রতিপালনে
মাশরুমে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল এর জটিল বন্ধন আমাদের শারীরবৃত্তীয় কাজকে বিশেষরূপে সচল রাখে।যে সকল মায়েরা প্রসূতি তারা নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন কারণ এতে আছে নিয়াসিন এস্কর্বিক এসিড যা গর্ভস্থ শিশুর শরীরে লোহিতকনিকার যোগান বাড়িয়ে দেয়। প্রসব হয়ে ওঠে সহজ। তাই নিয়মিত মাশরুম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।