Skip to content

৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর অনলাইন সুরক্ষা বিষয়ক ভার্চুয়াল সংলাপ

গত রোববার ১১ এপ্রিল ‘শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে ইউনিসেফ। অনুষ্ঠানে শিশুদের অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত নিয়ে কথা বলেন বক্তারা।

 

অনলাইনে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকায় শিশুরাও এখন অনলাইনের সাথে জড়িয়ে গেছে। অনেকেই বিভিন্ন সাইটে লগ ইন করছে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও যুক্ত হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রেই এই শিশুরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। অভিভাবকদের অসচেতনতায় শিশুরা খুব সহজে অনলাইনে বুলিং, যৌন হয়রানি ও অপরাধের শিকার হচ্ছে। করোনাকালে এ ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এ থেকে রক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।  

 

করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউসি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার ব্যাপারটি করোনা মহামারির পরও থেকে যাবে। প্রকল্প ভিত্তিক কাজে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার সময় এসেছে।

 

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহেরীন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা যেন এই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায় এবং সব শিশু সুরক্ষার মধ্যে সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, সেটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

 

সংলাপে ইউনিসেফ বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপের সহায়তায় পরিচালিত একটি অনলাইন জরিপের তথ্য তুলে ধরেন গ্রামীণফোনের সাসটেইনেবিলিটি প্রজেক্ট লিড এম হাফিজুর রহমান খান। তিনি জানান, এক-তৃতীয়াংশ অভিভাবক তাঁদের শিশুদের অনলাইন বন্ধুদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। প্রথম আলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গত জানুয়ারি মাসে ‘শিশুর অনলাইন নিরাপত্তায় অভিভাবকের ভূমিকা’ শিরোনামে ওই অনলাইন জরিপে অংশ নেন ২ হাজার ৩৮১ জন।

 

ইউনিসেফ বাংলাদেশের এ-দেশীয় প্রতিনিধি টোমু হোজুমি বলেন, সাইবার বুলিং, হয়রানি শিশুদের মনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। ইন্টারনেট বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এসব ঝুঁকিও বাড়ছে।

 

সংলাপে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ মহাপরিচালক সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ) মাহ্‌ফুজা লিজা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮-এর সমন্বয়ক চৌধুরী মোহাম্মদ মোহাইমেন ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হাসিনা মোস্তাফিজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরী।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ