তপতী এগিয়ে চলছেন স্বপ্নপানে
ছোটবেলায় মা আর খালামনির ব্যবসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজে থেকে কিছু করবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছা শুরু। সেই থেকে জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পার করে এখন সফল উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার তপতী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মফস্বল থেকে বেড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে ঢাকায় স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেই বিক্রয় ডট কমের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে চাকরী শুরু করেন। ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়ার স্বপ্ন থেকেই বিয়ের অনেক দিন পর চাকরী ছেড়ে শুরু করেন তার স্বপ্নের সুতিঁকাগার। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রথমে ফেসবুজ গ্রুপের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় "তপতী'স ফিওরেলা"।
প্রথমে বাংলাদেশী প্রোডাক্ট দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ইম্পোর্টেড ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী এবংদেশীয় প্রোডাক্টের(ব্লক/বাটিক),কাস্টমাইজ কাজ ও করছেন বলে জানান তিনি। অনুপ্রেরণার উৎস জানতে চাইলে পরিবার থেকে তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছেন সবসময়। তার বাইরেও নিজের প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে বড় করে দেখেন তিনি। বর্তমান নারী উদ্যোক্তাদের যে ধরণের সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হয় তার পেছনে সামাজিক প্রেক্ষাপট অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করলেও, তিনি অত্যন্ত সাহসীকতার সাথে পার করেছেন সব বাধা বিপত্তি।
করোনা মহামারীতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অনলাইন বিজনেস বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তার পাশাপাশি প্রভাতী কুরিয়ার লিমিটেড এর কুরিয়ার সেবার মধ্য দিয়ে তিনি অত্যন্ত সহজেই তার প্রোডাক্ট ডেলিভারী করছেন। তিনি বলেন,'করোনাকালীন গত ২ লকডাউনে যেভাবে প্রভাতী কুরিয়ার আমাকে সাপোর্ট করেছে এবং তাদের দ্রুত ডেলিভারী সত্যিই অসাধারণ'। বর্তমানে ঢাকায় স্বামী আর ২সন্তান নিয়ে বসবাস করা এই নারী উদ্যোক্তা নিজের স্বপ্নের তপতী'স ফিওরেলাকে লাইফস্টাইল ব্রান্ড হিসেবে দেখতে চান ভবিষ্যতে। একছাদের নিচে সবকিছুর বাহারী সমাহার দিতে পারলেই তিনি তৃপ্ত। এতদিন পর্যন্ত মানসিক শক্তি যোগাতে যারা ভূমিকা পালন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।