Skip to content

১লা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাকে শরতের রং

নীল শাড়ি পরে শরৎ বিশেষ রূপে আসে একরাশ শুভ্রতা নিয়ে। শুভ্র মেঘ আর স্বচ্ছ নীল আকাশ জানান দেয় শরৎ এসেছে। নীল আকাশ, প্রখর রোদ, নদী-খাল-বিলে স্বচ্ছপানি সব মিলিয়ে মন-মাতানো এক সৌন্দর্যে প্রকৃতি মাতোয়ারা হয় এই সময়ে। আমাদের দেশে ঋতুভেদে পোশাকপরিকল্পনা করে থাকে ফ্যাশনসচেতনরা। শরতের মেঘের সঙ্গে মিলিয়ে নাহয় হোক, এই সময়ের পোশাকের রং। 

পোশাকে শরতের রংপোশাকে শরতের রং
পুরো শরৎজুড়েই সাদা-নীল, আসমানি, ছাই আর গাঢ় নীল রঙের ছোঁয়ায় মেতে উঠে সবাই। শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজে সাদা-নীলের ছোঁয়া এই সময়ের সঙ্গে খুব মানানসই হবে। নীলের বিভিন্ন শেড, ছাইরং, সাদাÑ এসব রঙের সঙ্গে অন্য উজ্জ্বল রঙের মিশেলে পোশাকে আসে ভিন্ন একদীপ্তি। মোটিফে প্রজাপতি, ফুল, পাখি, পাতার নকশা ভালো মানাবে।

পোশাকে শরতের রংপোশাকে শরতের রং

শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজে থাকতে পারে কাশবন বা সবুজের ছোঁয়া। জমিনে কম কাজকরা শাড়ি এই সময়ের সঙ্গে খুব ভালো মানায়। প্রকৃতি যখন নিজেই সেজে থাকে, তখন সে রূপের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নিতে হালকা সাজেই মানিয়ে যাবে এ-সময়। শাড়িতে তাই ছিমছাম মোটিফ বেছে নিতে পারেন। শাড়ির পাড়ে থাকতে পারে নতুনত্ব। সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে কম কাজ ও প্রশস্ত ওড়না নতুনত্ব আনবে। হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এ-সময়ের পোশাকের তালিকায় থাকতে পারে। ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে এ সময়ে টি-শার্ট বেশ মানানসই। ফর্মাল পোশাকে কাটাতে হয় সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন।

পোশাকে শরতের রংপোশাকে শরতের রং

তাছাড়া রয়েছে নানারকম বাধ্য-বাধকতা। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন ঘুরতে যাওয়ার দিনগুলো অথবা আড্ডায় ভিন্ন কিছুতে আপনাকে করে তুলবে অন্যদের থেকে আলাদা। বাইরে যাওয়ার সময় শুধু পোশাক নিয়ে চিন্তা করলেই হয় না। অনুষঙ্গ আরামদায়ক ও মানানসই নাহলে পুরো সাজটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাঁত ও সুতি পোশাকের সঙ্গে রঙিন চটিজুতা, নাগরা, হালকা উঁচু জুতা ভালো লাগবে। হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলে ভিজে গিয়ে পরার অনুপোযোগী হয়ে যায় এমন জুতা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। হ্যান্ডব্যাগ হতে পারে গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন। চটের বা কাপড়ের ব্যাগ, রঙিন কাপড়ের থলে আকার ভালো লাগবে। সঙ্গে অলঙ্করণে যদি চুমকি, ডলার ব্যবহার করা হয়, তবে তা এক ভিন্নতা তৈরি করবে।
শাড়ির ম্যাটেরিয়াল হিসেবে সুতি বেশি ব্যবহার করা হয়। পোশাকের তালিকায় শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে থাকতে পারে টি-শার্ট, কুর্তি, টিউনিক ও টপ্স। ভালো লাগবে স্কার্ট। প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায় আসমানি স্কার্টের সঙ্গে সাদা টপ্স। আবার গাঢ় নীল রঙের ঢোলা সালোয়ারের সঙ্গে হালকা ছাইরঙের টিউনিক, যেটা শরতের আকাশে মেঘের ছায়ার আভা তৈরি করবে মনে।

পোশাকে শরতের রংপোশাকে শরতের রং
 দেশি ব্র্যান্ডগুলো সবসময়ের মতোই প্রস্তুত শরতের পোশাক সংগ্রহ নিয়ে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে রঙিন হয়ে ওঠার সময় শরৎ। আড়ং, অঞ্জন’স, দেশাল, নিপুণ কদ্ধ্যাফট, নিত্যউপহার, কুমুিদনী ইত্যাদি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বুটিক শপগুলোতেও পাবেন এ সময়ের জন্য মানানসই পোশাক। 
শরতের সময়ে আকাশজোড়া নীল মেঘ আর দিগন্তজোড়া কাশবন মুগ্ধ করে। নগরের ইট-কাঠ-পাথরের মাঝে একরাশ স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে শরৎ।

পোশাকে শরতের রংপোশাকে শরতের রং

ব্যস্ত শহরে এ-সময়ে তাই ছুটে যান মোলায়েম কাশের সন্ধানে। নীল মেঘের নিচে কাশের সারি তৈরি করে অপার্থিব সৌন্দর্য। নগরের বিভিন্ন স্থানে এ সময়ে দেখা যায় কাশের মেলা। চলে যেতে পারেন আফতাবনগর, দিয়াবাড়ি, বসিলা, তিনশ’ ফুটের রাস্তার দু’ধারজুড়ে। যে-কোনোদিন সকাল অথবা বিকেলে ঘুরে আসতে পারেন কাশের বনে। মনে একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন নীড়ে।

ছবি : কে ক্র্যাফট

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ