Skip to content

১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারের বৈশাখের সাজ!

পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বিশ্বজুড়ে কোটি বাঙালি এই দিনটি উৎসবে-আনন্দে পালন করেন।  কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গতবছরের ন্যায় এবছরও বৈশাখ পালনে থাকছে কিছু বিধিমালা। সামাজিক দূরত্ব মেনেই পালন করতে হবে এবছরের বাংলা নববর্ষ। আবার আর আয়োজন যা–ই থাকুক না কেন, মুখে মাস্ক থাকতেই হবে। তাই এবছর নববর্ষের সাজে থাকবে একটু ভিন্নতা।

সাদা আর লাল বৈশাখের ট্রেডমার্ক রং। তাই পোশাক হোক সাদা-লালে। নারী–পুরুষ, তরুণ–তরুণী, বয়স্ক–শিশু—সবার পোশাকই হোক লাল-সাদায়। 

 

বর্ষবরণে অনেকেই এখন একেক বেলায় ভিন্ন ভিন্ন পোশাকে সাজতে চান। বেশির ভাগ তরুণী সকালবেলার সাজে শাড়ি বেছে নেন। পোশাক শাড়ি, কামিজ অথবা কুর্তি—যাই হোক, রংটা কিন্তু পহেলা বৈশাখের হওয়া চাই। লাল-সাদার বাইরে অন্য উজ্জ্বল রঙেরও যোগসাজশ থাকলে খারাপ হবে না। কারণ বৈশাখ মানেই রঙের ছটা।

 

কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্ট ও ধুতি-পায়জামার সঙ্গে চুল সামনে একটু পাফ করে নিয়ে পনিটেল বা স্টাইলিশ কোন বেণি করে নিতে পারেন। বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে গয়নাতেও। রঙিন পুঁতি বা কাপড়ের মালা কেউ চাইলে মাথায়ও ব্যবহার করতে পারেন। সাদামাটা শাড়ির সঙ্গে রঙিন গয়না পরে সামঞ্জস্য আনা যেতে পারে। শাড়িটি যদি হয় রংচঙে, তাহলে মেকআপ ও গয়নার রং হালকা হলেই ভালো দেখাবে।

 

সাজে ঐতিহ্য ও হাল ফ্যাশনের ধারায় সমন্বয় থাকতে পারে। শাড়ি বা কামিজে দেশি নকশা থাকলেও চুলটা ছিমছাম ও ট্রেন্ডি ধাঁচে বেঁধে নিতে পারেন। অনুষঙ্গ ঐতিহ্যবাহী বা ফাংকি—দুই রকমই চলবে।

পয়লা বৈশাখে তো সব বয়সীর পোশাকেই উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তরুণীরা নানা ঢঙে শাড়ি পরতে পারেন। মাঝবয়সী কেউ কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরতে পারেন, সঙ্গে একটি হাতখোঁপা আর কপালে গোল টিপে ছিমছাম সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। তবে কেউ চাইলে এক প্যাঁচেও শাড়ি পরতে পারেন এই দিনে। এর সঙ্গে টিকলি বা নথও লাগাতে পারেন। পুরোপুরি দেশি ঢঙে সাজতে পারেন।

 

বৈশাখে গরমের বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। এক্ষেত্রে কমফোর্টেবল এর দিকটিও মাথায় রাখা জরুরি। রমজান মাসের কারণে অনেকেই আবার রাতেই বৈশাখের সাজে সাজাবেন নিজেকে। রাতে সাজলে মেকআপ একটু ভারি রাখলে ভালো হবে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ