একসঙ্গে তিন কবিতা
প্রেমের প্রহেলিকা
সাদাসাদা মেঘগুলো ডানা মেলতে মেলতে উড়ে যায়:
কোন এক আবেগের দেশে;
কাশ কুমারীরাও ফুরফুর করে উড়তে থাকে শরতের আকাশে,
রূপকথার থেকে একটু দূরে ওই স্বপ্নপূরীর দেশে।
স্বপ্নরা বুকের ভিতর বাসা বাঁধতে বাঁধতে বাসর সাজায়
আকাশের মতো রঙধনুর সাত রঙে।
এভাবে প্রেমিকেরা দিনের পর দিন মনের ইচ্ছেগুলো
রঙিন আকাশে উড়ে দিতে থাকে;
অন্যদিকে বুলবুলিরা উঁকি ঝুঁকি মারে-
কেউ ভালোবাসার কথা বলে না মুখে, উড়ে আর উড়ে
দূরে দূরে ঘোরে।
যদি তুমি শক্ত করে ধরতে চাও তাহলে সে
চিরতরে হারিয়ে যায় ;
আর যদি আলতো করে ধরো তুমি,
তাহলে বারবার খিলখিলিয়ে হেসে উড়াল দেয়।
শরৎরূপী প্রেমিক আমি
কোন এক শরতের পড়ন্ত বিকেলবেলা:
তোমার সাথে আমার প্রথম কথা;
রাশিরাশি কাশফুল উতলা হাওয়ায় দোল খাচ্ছিল,
একটা নতুন সম্পর্কের আনন্দে:
এদিকে ডুবু করে ডুবছিলো বেলা।
কচি সবুজ ধান গাছের বুকে কত না স্বপ্ন ছিলো
দুজনে হারিয়ে যাবে স্বপ্নের নকশীকাঁথার মাঠে;
মনের ভিতরে জমে থাকা কথাগুলো উড়াল দিতে থাকে
কিন্তু ঋতুর রানী তার কোন কথা বুঝতেই চায় না,
এত সুন্দর ধান শালিকের মাঠে ঘাটে।
হঠাৎ তার চোখে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি;
তার মনের ভিতর কোন ফিলিংস নেই,
ফুটন্ত শিউলি ফুলেও কোন সুবাস নেই,
দুচোখের গভীরে কোন অশ্রু নেই।
সে মাথা নিচু করে একাএকা চলে গেলো
রূপের আগুন জ্বালিয়ে;
তবু আমি ও পিছু ছুটতে ছুটতে বড্ড ক্লান্ত-
শরৎরূপী প্রেমিকের বেশে।
মন ভালো নেই
মন ভালো নেই,
বুকের ভিতর দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে;
কিন্তু চোখের নদীতে অশ্রু ঝরে না
প্রেমিকের মন প্রেমিকারা বুঝে না।
ঠিক যেন নারিকেলের মতো-
উপরে কঠিন শক্ত;
কিন্তু ভিতরে নরম তুলতুলে।