Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার মহাকাশে সৌদি নারী: বাঙালি নারীরা কতদূর

এতদিন নারীরা বিভিন্ন পেশায় নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সৌদি নারীরাও নিজেদের যোগ্যতায় অধিকার আদায়ের জন্য লড়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান বাড়ছে। এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। নারী অগ্রগতির তালিকায় এবার যোগ হয়েছে আরেকটি উদাহরণ। ভূপৃষ্ঠের গণ্ডি পেরিয়ে নারী আবারও পাড়ি দিচ্ছে মহাকাশে। তবে, আমেরিকা বা রাশিয়া নয়, প্রথমবারের মতো কোনো সৌদি নারী মহাকাশে যাচ্ছেন। ৩৩ বছর বয়সী রায়ানা বারনাওয়ি নামে এক সৌদি তরুণী আগামী ২১ মে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইসিসি) উদ্দেশে উড়াল দেবেন। সংবাদটি নারীদের জন্য সুখকর। এর আগে, প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক প্লেন ওড়ানোর অনুমতি পেয়েছিলেন ইয়াসমিন আল মায়মানি নামে একজন নারী পাইলট। এবার আকাশ পেরিয়ে মহাকাশে যাচ্ছেন রায়ানা।

একসময় তো নারীদের আকাশ দেখাও অপরাধ ছিল। দিন কাটতো চার দেয়ালে আবদ্ধ ঘরে। নারী ছিল পুরুষের অধীন। শত অত্যাচারেও মুখে রা থাকতো না। চুপচাপ সব অন্যায় সহ্য করে যেতো নারী। কিন্তু সেসব এখন অতীত। নারী এখন খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে। অনেক নারী বৈমানিক আছেন, যারা যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দেন গন্তব্যে। নারী এখন মেট্রোচালক, বাসচালকও। তবে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন নারী। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন বা কোরিয়া নারীদের মহাকাশে পাঠালেও মুসলিম দেশগুলোতে সেই রেকর্ড ছিল না।

এবার সেই রেকর্ডই গড়তে যাচ্ছে সৌদি। যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা মহাকাশযানে নভোচারীদের সঙ্গে থাকছেন সৌদি নারী। পেশায় একজন ব্রেস্ট ক্যানসার গবেষক এই নারী ১০ দিনের মহাকাশ মিশনে যাবেন। এটি নারীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার।

সাধারণত, নারীদের কাজ নিয়ে সেরকম আলোচনা হয় না। অনেকে তো নারীদের সংবাদ শিরোনামে দেখলেও বিরক্তির সঙ্গে এড়িয়ে যান। নারীদের অর্জন মানেই অধিকাংশ পুরুষের অ্যালার্জি। নারীদের কোনো অর্জনে ইতিবাচক দিক না খুঁজে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যস্ত থাকে নেতিবাচক দিক খুঁজতে। একজন নারী যদি সেরা কিছুও অর্জন করে, তাহলেও তাকে নিয়ে হবে নেতিবাচক সমালোচনা। নারীদের নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা করতে পুরুষদের পুরুষত্বে বাধে। নারীদের নিয়ে রসালো আলোচনায় মেতে থাকে তারা। কিন্তু নারীদের অর্জনকে ইতিবাচকভাবেই নেওয়া উচিত। নারীরা তাদের মেধা, যোগ্যতা আর দক্ষতার বলেই এগিয়ে যায়।

নারীদের অগ্রগতি আমাদের সমাজ, দেশ এমনকি রাষ্ট্রের জন্যও আশীর্বাদ। সৌদি আরবের মতো একটি রক্ষনশীল দেশও নারীদের অগ্রগতিতে এগিয়ে আসছে। কিন্তু আমাদের দেশে নারীদের এখনো মানুষ বলে গণ্য করা হয় না। বেশিরভাগ পুরুষের কাছেই নারী ভোগের পণ্য। এই দেশে এখনো একজন নারী একা রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে না। চারপাশে নরপশুরা লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। যেখানে সৌদি নারী মহাকাশে যাচ্ছেন, সেখানে আমাদের দেশে নারীদের একা কর্মস্থলে যাওয়াও নিরাপদ নয়। তাই, আমাদের দেশের নারীদের অগ্রগতিতে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের। নারীদের দিতে হবে যোগ্য সম্মান।

নারীও এখন পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অবদান রাখছে দেশ ও জাতির উন্নয়নে। নারী এগিয়ে যাচ্ছে নিজ গতিতে। নারীদের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক। কর্মক্ষেত্রে নিশ্চিত হোক নারী পুরুষের সমানাধিকার। রায়ানার মতো নারীরা হোক অন্য নারীদের অনুপ্রেরণা।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ