Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আফগান নারী সাংবাদিক

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে পুরো বিশ্বজুড়েই চলছে আলোচনা। ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নিয়েছে তালেবানরা। ২০ বছর পর আবারও ক্ষমতায় তালেবান।  দেশটিতে আবারও পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে তালেবান শাসনের। আর এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন দেশটির নারীরা। এতকিছুর মধ্যেও আগে থেকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আফগান নারী সাংবাদিক আনিসা শাহীদ। 

আনিসা তালেবান শাসনের মধ্যেই বেড়ে উঠেছে। যেখানে নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল৷ তখন তার স্বপ্ন ছিল স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করা। এরপর তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। তাই আবারো আফগানিস্তান তালেবানদের শাসনে চলে গেলে কি পরিস্থিতি হতে পারে তা অনেক আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন এই নারী সাংবাদিক৷ আর এসব বিষয় নিয়ে তিনি একটি ভিডিও বার্তা  দেন। 

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আফগানিস্তানের অনেক না বলা গল্প রয়েছে, আমাদের সেগুলো বলতে হবে। তিনি আরো বলেন, 'গত ২০ বছর ধরে আফগান গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ যে কঠোর পরিশ্রম করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল তা হারিয়ে যাবে। 'এ বিষয়গুলো নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন এই সাহসী নারী সাংবাদিক । 

তার বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে শিক্ষিকা হবেন৷ কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তার সাংবাদিক হওয়ার প্রবল আগ্রহ ছিল। তিনি তার বাবাকে বলেছিলেন 'যদি সাংবাদিক হতে না পারি তবে আর কিছুই হবোনা, ঘরে বসে থাকবো'।  চার-পাঁচ বছর পর বাবা-মা মেনে নিলেও তাদের একমাত্র চিন্তা ছিল মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে। নিজের নিরাপত্তার জন্য আনিসাকে একেক দিন একেক পথ ধরে অফিসে যেতে হয়।

সাংবাদিকতা বরাবরই একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। তবে আফগানিস্তানে সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। আর নারী সাংবাদিক হলে সে ঝুঁকি পাহাড়সম। চোখের সামনে আনিসা অনেক বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছেন। যা তাকে ক্রমাগত হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আনিসা শাহীদ  আফগানিস্তানের একটি  জনপ্রিয় গণমাধ্যমে কাজ করেন। কাজের ক্ষেত্রে প্রায়শই বৈষম্যের শিকার হতে হয় তাকে।  

তবুও নিজের জায়গায় আনিসা অবিচল। শত বাঁধা পেরিয়ে সফলতার সাথে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। চলতি বছর আফগানিস্তানের ফ্রি স্পিচ হাব, আনিসা শাহীদকে দেশটির বর্ষসেরা সাংবাদিক নির্বাচিত করেছে। তবে এখানেই থেমে যেতে রাজি নন এই নারী সাংবাদিক। যাই হয়ে যাক তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে চান। তিনি আশা করেন একদিন সারা দেশ ঘুরে ঘুরে ভালো খবর সংগ্রহ করবেন এবং দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবেন।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ