২০১৬ সাল থেকে মাদকাসক্ত পরীমনি
২০২০ সালে ফোবর্স ম্যাগাজিন "এশিয়ান ১০০ ডিজিটাল তারকা" র তালিকায় স্থান পাওয়া পরীমনিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে বছর জুড়েই। এখন তিনি টক অব দ্য টাউন। বুধবার আটক হওয়া পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকাসক্ত বলে জানায় র্যাব।
৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আটক পরীমনি ও প্রযোজক রাজ আর গ্রেপ্তার মডেল পিয়াসা ও মৌ – এর বিষয়ে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন।
গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে সাহায্য চেয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
এর আগেও টাইম লাইনে ছিলেন পরীমনি। চলতি বছরের জুনে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। রিমান্ডেও নেয়া হয়েছিল তাদের। তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এর মধ্যেই পরীমনির বিরুদ্ধে গুলশানের অলকমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।