Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণন রাজা লরেলো!

আপনাদের মধ্যে কেউ কখনো ১৮০ ডিগ্রী কোণে নিজের মাথাকে ঘুরিয়ে দেখেছেন অথবা এরকম ক্ষমতার অধিকারী কেউ আছেন? হয়ত এমন মানুষের খোঁজ আপনারা এখন অবধি পাননি। তেমনেই এক মানুষের খোঁজ আজ আপনাদের কে দেবো।

 

‘মার্টিন জো লরেলো’ পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি যিনি তাঁর মাথা ১৮০° কোণে ঘুরাতে পারতেন। অনেকেই বলেছিলেন ছবিটি ফটোশপড বা ইডিটেড। ছবিটি ইডিটেড ছিল না। মার্টিন জো লরেলো সত্যিই তার মাথাকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরাতে পারতেন। 

 

তিনি কোন রোগে আক্রান্ত ছিলেন না, এভাবেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন! তাহলে তার এই যে শারীরিক দক্ষতা বা বিকলাঙ্গ যা-ই বলা হোক, সেটা কীভাবে পেলেন তিনি?

 

তিনি জন্মগ্রহণ করার পর দেখা যায় তার স্পাইনাল কর্ড অনেকখানি বাঁকা হয়ে পাকিয়ে (Twisted) রয়েছিল। এই পাকানো স্পাইনাল কর্ড ই তার ঘাড়কে প্রচুর পরিমাণে নমনীয়তা প্রদান করে। এটা বলা হয়ে থাকে যে, যখন তিনি তার মাথা ঘুরিয়ে পেছনের দিকে আনতেন, তখন তার স্পাইনাল কর্ড দেখতে প্রশ্নবোধক চিহ্নের (?) মত হয়ে থাকতো।

 

তবে জন্মের পর থেকেই তিনি কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে পুরোটা পেছনের দিকে আনতে পারতেন না। পুরোপুরি পেছনে আনতে তাকে অনেক পরিশ্রম এবং চর্চা করতে হয়েছে। তার এই অস্বাভাবিকতাকে কাজে লাগানোর জন্য লরেলো প্রায় তিন বছর বিভিন্ন ধরনের চর্চা করে গেছেন। তার মধ্যে কিছু চর্চা ছিল শুধু তার ঘাড়ের মেরুদণ্ডের কিছু হাড়কে স্থানচ্যুত করা, যাতে তিনি তার মাথাটা ঘুরিয়ে সম্পূর্ণ পেছনের দিকে আনতে পারেন। তিনি সফলও হয়েছেন। এই অস্বাভাবিকতা কে কাজে লাগিয়েছেন তিনি বিভিন্ন সার্কাসে মানুষকে বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে। তার মাথা ঘুরানোর এই অদ্ভুত ক্ষমতার কারণে তাকে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মানব পেঁচা’।

 

তবে কিছুটা অদ্ভুত ব্যাপার হল মাথা পেছনে থাকা অবস্থায় তিনি মুখ দিয়ে যেকোন তরল যেমন পানি, এলকোহল, জুস পান করতে পারতেন কিন্তু কোনোভাবেই নিঃশ্বাস নিতে পারতেন না। এমনকি তিনি ধূমপানও করতে পারতেন সে অবস্থায়।

 

তার সবচেয়ে প্রচলিত যে ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৪০ সালে, যেখানে দেখা যায় লরেলো একটি সিগারেট দিয়ে ধূমপান করছেন যেখানে তার মাথা ছিল পেছনের দিকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো।

 

বর্তমান সময়ে হলে তিনি নিঃসন্দেহে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতেন। যুগে যুগে এমন অতিমানবদের নিদর্শন দেখা যায়। তারা ছিল বিরল কিছু প্রতিভার অধিকারী। সকলের মাঝে কোন না কোন সুপ্ত প্রতিভা বিদ্যমান।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ