Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ইউএফও’ এর মত দেখতে ব্রন্ডবি শহর

প্রযুক্তির প্রভাবে প্রতিদিনেই বদলে যাচ্ছে দুনিয়া।একটা সময়ে যা কিছু ছিল কেবলেই কল্পনা ধীরে ধীরে তা রূপ নিচ্ছে বাস্তবে।প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা বিলাসবহুল হয়েছে। তবে সে জীবনে প্রকৃতির ছোঁয়া নেই বললেই চলে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মানুষকে আয়েশি জীবন দিলেও তা প্রাকৃতিক পরিবেশে যাপিত জীবনের মতো স্বাস্থ্যকর নয়। তা ছাড়া মনুষ্য সৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা দিন দিনই বাড়ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। 

এমন চিন্তা থেকেই ডেনমার্কে গড়ে তোলা হয়েছে 'গার্ডেন সিটি' বাগান নগরী। এখানে আপনি পাবেন, বাহারি ফুলের সুবাস, বিশুদ্ধ বাতাস, যা আপনাকে দেবে সতেজতা-সজীবতা। মিলবে প্রাণোচ্ছল এক অনুভূতি, যা শহুরে যান্ত্রিক জীবনের চেয়ে স্বাস্থ্যকর।

শুধু ডেনমার্ক নয়, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই জীবনযাত্রায় প্রকৃতির ছোঁয়া রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা অত্যাধুনিক উপায়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসের জন্য পরিকল্পিতভাবে তৈরি করছেন আবাসস্থল, যেখানে মিলবে শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ। ডেনমার্কের কোপেনহেগের ব্রন্ডবি এলাকার গার্ডেন সিটি ঠিক এমনই। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখানে বৃত্তাকারভাবে বাগান নগরী গড়ে তোলা হয়েছে। একেকটি বৃত্তের মধ্যে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি, যেন প্রতিটি বৃত্তই এক একটি গ্রাম।

হুট করেই এই নগরী গড়ে ওঠেনি, ১৯৬৪ সালে ব্রন্ডবি পৌরসভা যখন ওই এলাকায় জমি বরাদ্দ দিতে শুরু করে, তখন ডেনমার্ক সরকার বাগান নগরীর এ পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়। বৃত্তাকার এ ধারণার পেছনে খুবই সাধারণ একটি উদ্দেশ্য ছিল, আর তা হলো এই বাগান নগরীর বসবাসকারীদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক বাড়ানো। ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্ট এরিক মাইজিন্ডের মাথা থেকে এ ধারণা এসেছে। এখানে বসবাস করতে হলে ভাড়াটিয়াদের মাসে ১৫০ ডলার গুনতে হবে। তবে এখানে শুধু গরমকালেই আপনি থাকতে পারবেন। বছরের ৬ মাস এখানে তারা থাকে বাকি সময় ভাড়া দেয়।

বিভিন্ন রকমের মেগা স্ট্যাকচার বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখছি।প্রতিটি নকশাই ভিন্ন তার ভিন্ন গঠনের জন্য। এমনেই অদ্ভুত শহরে এই ব্রন্ডবি। হয়তো সুযোগ হলে আপনি কি ঘুরে আসতে চাইবেন নাহ?

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ